নিজস্ব প্রতিবেদক: মুক্তিপনের চেকের টাকা না দিতে পেয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার মহিষবান্দি গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার মন্ডলের ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলাম মন্ডল।
সূত্রে জানা যায় যে, তিনি একজন ব্যাবসায়ী। ২০১৯ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৫ টায় তার মোবাইলে একটি ফোন আসে যাহার নাম্বার ০১৯২৩৪৯২৬৬৬ ফোনের অপর প্রান্ত থেকে মোতাহার হোসেন দুলাল নামে এক ব্যাক্তি সি আই ডির পরিচয় দিয়ে তাকে বলেন, আমার কাছে আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ আছে, আপনি এসে সি আই ডি অফিস থেকে নিয়ে যান। এই কথা শুনে আমি সি আই ডি অফিসের সামনে যায় এবং উক্ত মোতাহার হোসেন দুলাল নামে ব্যাক্তিকে ফোন দেই, কিছুক্ষন পর ৪/৫ জন সাদা পোশাকধারী লোক এসে আমাকে তুলে নিয়ে যায় এবং সি আই ডি অফিসের এন এক্স ভবনের ৬ তলায় নিয়ে যায়। ৬ তলায় নিয়ে যাওয়ার পরপরেই আমার ওপর অত্যাচার শুরু করে এবং আমার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও ব্যাবসায়ের নগদ ১ লক্ষ টাকা জোর করে নিয়ে নেয়।
উক্ত সি আই ডি পরিচয়দানকারী সদস্যরা বলতে থাকে তোর নামে একাধিক মামলা আছে, এবং আরো মামলা দেব এখন যদি নগদ ১০ লক্ষ টাকা না দিস, তোকে ক্রসফায়ার দিব, আমরা তোকে ক্রসফায়ার দিলে আমাদের কিছুই হবেনা। উক্ত স্থানে মিজান নামে একজন উপ পরিদর্শক/ এস আই (সি আই ডি) ছিলেন। সে আমাকে নগদ ১০ লক্ষ টাকা অথবা চেক দিতে বলেন। আমি কোনো উপায় না পেয়ে আমার জীবন বাঁচাতে অনুরোধ করে ৫ লক্ষ টাকার একটি চেক দেই। যাহার নাম্বার ঈউই ৫৩৮১৮০৪ তারিখ ২৫/০২/২০১৯ইং অগ্রীম তারিখ দিয়ে নেন । ২ মাস পর জানতে পারি উক্ত মুক্তিপনের প্রতারক চক্রের হোতা মোতাহার হোসেন দুলাল চেকটি ডিসঅনার করে আমার বিরুদ্ধে গত ১৪ মে ২০১৯ তারিখে রংপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্যাট আদালতে একটি মামলা করে। যাহার নং: সি আর ৪১৯/১৯ । উক্ত মামলায় গোপনে আমার নামে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি করা হয় এবং সেই মামলার ভয়ে আমি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমি এবং আমার পরিবার দারিদ্রতার মহা সংকটে দিন পার করছি। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ প্রশাসন সহ সকলের সহায়তা কামনা করছি।