নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা-বাগেরহাট-গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে বিএনপি।
আজ সোমবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মনোনয়ন বোর্ডে প্রার্থীদের সাক্ষাতকারের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই মনোনিতদের নাম ঘোষণা করেন।
ঢাকা-১০ আসনে শেখ রবিউল আলম, বাগেরহাই-৪ আসনে কাজী খায়রুজ্জামান শিপন এবং গাইবান্ধ-৩ আসনে ডা. সৈয়দ মাইনুল হাসান সাদিক দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
মনোনীত তিনজনই সাংবাদিকদের জানান, প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা এই নির্বাচন নিচ্ছেন।
ঢাকা-১০ আসনে শেখ রবিউল আলম বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার বয়স ৪৮ বছর। ধানমন্ডি থানা বিএনপিরও সভাপতি তিনি। এই আসনে দলের মনোনয়ন শেখ রবিউল আলম ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করেননি।
বাগেরহাট-৪ আসনে কাজী খায়রুজ্জামান শিপন, জেলা বিএনপির সদস্য। তার আবেদনপত্রে বয়স লেখা হয়েছে ৪৬ বছর। ১৯৮৬ সালে তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হন।
গাইবান্ধা-৩ আসনে ডা. সৈয়দ মাইনুল হাসান সাদিক। তিনি গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি, বয়স ৬২ বছর। তিনি বিএনপির চিকিৎসক সংগঠন ‘ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (ড্যাব) এর সদস্য।
ঢাকা-১০, বাগেরহাট-৪ এবং গাইবান্ধা-৩ আসনে উপ-নির্বাচনে মনোনয়নের জন্য আট জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন।
এরা হলেন- ঢাকা-১০ আসনে শেখ রবিউল ইসলাম রবি, বাগেরহাট-৪ আসনে কাজী মনিরুজ্জামান, মনিরুল হক, কাজী খায়রুজ্জামান শিপন, ফারহানা জামান নিপা এবং গাইবান্ধা-৩ আসনে সৈয়দ মাইনুল হাসান সাদিক, রফিকুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান সরকার।
ঢাকা-১০ আসনে শেখ ফজলে নূর তাপস সংসদ পদ ছেড়ে দেয়া, বাগেরহাট-৪ আসনে মোজাম্মেল ও গাইবান্ধা-৩ আসনে ইউনুস আলী সরকার মৃত্যুবরণ করায় সংসদের আসনসমূহ শূন্য হয়।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী তিন আসনে উপনির্বাচনে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র ২৩ ফেব্রুয়ারি, দাখিল বাছাই এবং ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। আগামী ২৯ মার্চ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় লন্ডন থেকে স্কাইপেতে যুক্ত হয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করেন। স্থায়ী কমিটিই দলের মনোনয়ন বোর্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
সভায় মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।