নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনান্তের পর চট্টগ্রামে সন্দেহজনক রোগীদের বিশেষ ব্যবস্থায় আলাদা রাখার (কোয়ারেন্টাইন) জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে দুটি স্কুল।
স্কুল দুটি হলো- চট্টগ্রামের দক্ষিণ কাট্টলীর পি এইচ আমিন একাডেমি এবং চান্দগাঁওয়ের সিডিএ পাবলিক স্কুল।
জানা গেছে, এ দুটি স্কুল পরিদর্শন করবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি। এরপর কমিটি কোয়ারেন্টাইনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
করোনা প্রতিরোধে জেলা কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী জাগো নিউজকে বলেন, ‘কোয়ারেন্টাইনের জন্য স্কুলঘরসহ ১০টি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও বিশেষায়িত ওয়ার্ড করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে ওষুধ, অক্সিজেন, মাস্কসহ প্রয়োজনীয়সামগ্রী প্রস্তুত রাখার। চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক করোনা শনাক্তকরণ পদ্ধতি জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
গতকাল রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। তাদের দুজন ইতালিফেরত, বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এ তিনজন ছাড়া আরও দুজনকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
প্রস্তুত ১ হাজার ৪০০ বেড: এদিকে চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সামলাতে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় এক হাজার ৪০০ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। হাসপাতালের কিছু বেড খালি করা হয়েছে, করোনাভাইরাসের রোগী রাখার জন্য। ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাহাড়ের ওপরে আলাদা ব্লকে ১০০ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এখন একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড আছে, সেখানে শয্যা আরও বাড়ানোর চিন্তা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে জরুরি প্রয়োজনে চসিক জেনারেল হাসপাতাল, মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল ও ওয়ার্ড স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দায়িত্বরত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাছাড়া বিমানবন্দরে চীন ও বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং (পরীক্ষা) করা হচ্ছে।