অনলাইন ডেস্ক: দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট উদ্ভাবনের দাবি করেছে চিকিৎসা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। মাত্র ৩০০ টাকায় এই কিট ব্যবহার করে করোনার পরীক্ষা করা যাবে। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞপ্তিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জানায়, তাদের বিশেষজ্ঞ গবেষকদের একটি দল এই কিট উদ্ভাবন করেছেন। এর অনুমোদনের জন্য ইতোমধ্যেই ওষুধ প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে উৎপাদন শুরু করা যাবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাদের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার মতো সহজেই করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। এই কিটের পাইকারি দাম রাখা হবে ২০০ টাকা করে। তবে, ব্যবহারকারীদের পর্যায়ে এর দাম যেন ৩০০ টাকার বেশি না পড়ে সে বিষয়ে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিকে, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শঙ্কিত হয়ে অনেকেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) হটলাইনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীদের কয়েকজন বলেন, ‘আমরা হটলাইনেও রিচ করতে পারছি না, একাধিকবার কল করেও বিজি পাওয়া যাচ্ছে। আইইডিসিআরেও সরাসরি সাক্ষাৎ করে কোনো ধরনের সহযোগিতা বা পরামর্শ মিলছে না। সেখানে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে।’
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআর হটলাইনে কল এসেছে চার হাজার ২০৫টি। এর মধ্যে করোনা-সংক্রান্ত পরামর্শ নিতে কল এসেছে চার হাজার ১৬৪টি। শুধু তা-ই নয়, অন্যান্য দিনের মতো আজও করোনার সংক্রমণ কিংবা উপসর্গ নিয়ে আইইডিসিআর কার্যালয়ে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।’
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরও জানান, দেশে আরও দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে পরীক্ষা করার পর ওই দুজনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জনে।