শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

করোনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি ঝুঁকিতে: আইসিসি

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০২০
  • ২৩৭ বার পঠিত

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস সংক্রমণকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এ ভাইরাসটি ইতোমধ্যেই ১৯২ দেশ এবং অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এ করোনার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশ।

সোমবার (২৩ মার্চ) আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মহামারি পরবর্তী সময়ে যে সংকট তৈরি হবে তা বোঝার এবং অনুমান করার চেষ্টা করছে অর্থনীতিবিদরা। প্রকৃতপক্ষে কেউই জানেনা আগামীকালকে কী ঘটবে, তারপর কী হবে ও আগামীতে সমাজ, সরকার, স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং অর্থনীতির কী পরিবর্তন ঘটবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে প্রান্তিক এবং উদীয়মান অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুতরাং বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে, যেহেতু বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ৭০ শতাংশেরও বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে যায়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি ৪.৮ শতাংশ কমে ২৬.২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, যা বিগত অর্থবছরে একই সময়কালে ২৭.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। রপ্তানির এই নিম্নমুখী ধারা সামনের মাসগুলোতে আরও বেড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, চায়না বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং সরবরাহ চেইনের বড় দাতা, যা রপ্তানি, আমদানি এবং উৎপাদনের জোগান দেয়।

উৎপাদন, সরবরাহ চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ও বাজার বিপর্যয়ের ফলে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হতে পারে। অর্থনৈতিক খাত বিশেষত বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এবং রেমিটেন্স আয় কমে যেতে পারে।

ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষয়-ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণের সময় এখনও হয়নি, কেননা প্রতিদিনই নতুন পরিস্থিতির উদয় হচ্ছে, সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রাক্কলন দ্বারা কেবলমাত্র ক্ষয়-ক্ষতির ব্যাপকতা বোঝানো যেতে পারে। প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতির মাত্রা নির্ভর করবে সংক্রমণের বিস্তার ও এর স্থায়ীত্বের উপর। নীতি নির্ধারকরা স্বাস্থ্যগত এবং অর্থনৈতিক ক্ষয়-ক্ষতি উপশমে কত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে তার উপর।

আইসিসি বাংলাদেশ বিশ্বাস করে দ্রুততম সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ার ফলে দেশ ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জর মুখোমুখী হয়েছে। তাই ক্রমাবর্ধমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতাকে মোকাবিলা করার জন্য সরকার এবং ব্যবসায়ী মহলকে নীতি কাঠামোতে একমত হতে হবে। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করি যে এ ধরনের দুর্যোগ যার কোনো ভৌগলিক সীমারেখা নেই মোকাবিলায় কেবলমাত্র সমন্বিত পদক্ষেপই কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আমরা এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য নীতি-নির্ধারকদের তাগিদ দিচ্ছি তাদের নেতৃত্বে সরকার এবং বেসরকারি খাতের নেতাদের একত্র করার জন্য। অতীতে বাংলাদেশ অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে এবং আমরা আশা করি এ দুর্যোগও সাহস ও সহিষ্ণুতার সঙ্গে উৎরাতে সক্ষম হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com