নিউজ ডেস্ক: ভারতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের অযথা কোনও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আলম। শনিবার (১৮ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘অযথা কোনও পরিস্থিতি দয়া করে সৃষ্টি করবেন না। কারণ আপনাদের আচার-আচরণের সঙ্গে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি জড়িত রয়েছে। আমরা আমাদের কোনও নাগরিককে বিদেশে অসহনীয় কোনও কষ্টের মধ্যে ফেলবো না। তবে এ সময়ে কষ্ট বাংলাদেশের নাগরিকদের হচ্ছে, ভারতের নাগরিকদের হচ্ছে এবং অন্যান্য নাগরিকদেরও হচ্ছে। আমরা সবসময় খোঁজ রাখছি আপনাদের।
পাঞ্জাবের লাভলি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীর পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রদূত প্রতিনিয়ত কথা বলেছেন। আমরা খাবার সরবরাহের জন্য অর্থ দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলাম এবং তারা বলেছে তাদের যথেষ্ট তহবিল আছে এবং এটি তাদের প্রয়োজন নেই। আমরা নিশ্চিত করেছি কর্তৃপক্ষ ডরমিটরিতে তাদের খাবার দেবেন এবং যারা আলাদা থাকেন তাদের খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওইসব অঞ্চলে খাদ্যাভাস হচ্ছে মূলত শাক-সব্জি এবং সে কারণে অনেকের ওই খাদ্য গ্রহণে অসুবিধা হচ্ছে এবং অনেকে তাদের পছন্দমতো খাদ্য পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘এই বিশেষ পরিস্থিতিতে করোনা সমস্যা সমাধানে আমাদের অনুরোধ আপনাদের অবদানটুকু হবে এই কষ্টটুকু সহ্য করে নেওয়া।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি পৃথিবীর সব দেশে সমান এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ক্লাস শুরু হবে এবং যে দেশে আছেন সেখানকার নিয়ম মেনে চলুন।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে আটকা পড়া রোগী, পর্যটক ও শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও তামিল নাড়ু রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় চেন্নাইতে একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা একাধিক ফ্লাইট পরিচালনা করবে এবং বাংলাদেশি নাগরিক যারা নিবন্ধন করেছেন এবং বুকিং দিয়েছেন তারা ফেরত আসবেন।
এ ফ্লাইটগুলো আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে পরিচালিত হবে এবং চেষ্টা করা হচ্ছে ভারত সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে অন্য শহর থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত আনার।
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চল থেকে রোগীরা চলে আসার পর, আমরা চেষ্টা করবো দিল্লি, পাঞ্জাব ও অন্যান্য জায়গা থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত আনার।’ তবে সে পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ জানান প্রতিমন্ত্রী।