বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় সালমা বেগম (৩০) নামে দুই সন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধানক্ষেতে নগ্ন অবস্থায় পড়ে ছিল তার লাশ।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর সাড় ১২টার দিকে বগুড়া-নাটোর সড়কের উপজেলার জোড়া বটতলা কানাইপুকুর ব্রিজের পূর্বপাশে আশেকপুর মধ্যপাড়ার ধানক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সালমা বেগম উপজেলার আশেকপুর মধ্যপাড়ার রাজমিস্ত্রি ছাইদুজ্জামানের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, সালমা বেগমকে ‘গণধর্ষণের’ পর শ্বাসরাধে হত্যা করে ধানক্ষেতে ফেলে রাখা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
সালমা বেগমের মা ছাহেরা বেগম জানান, সালমাকে গাবতলী উপজেলার তন্বী গ্রামের সোহেল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেন। তাদের সংসারে জান্নাতি (৯) ও আল আমিন (৬) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। সংসারে ঝগড়া হওয়ায় ছয় মাস আগে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় সালমার। বিয়ের পর থেকেই সালমা বাবার বাড়িতে থাকতেন। সালমা স্থানীয় ব্যাগ তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। মাঝেমধ্যে জামাই সোহেল রাস্তায় সালমাকে বিরক্ত করতেন। এমনি ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিতেন।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন সালমা। ভোররাতে সাহরি খেতে মা ছাহেরা ওঠে দেখেন সালমা ঘরে নেই। তখন থেকেই সালমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে বাড়ির অদূরে ধানক্ষেতে সালমার লাশ পড়ে আছে বলে শুনতে পান মা ছাহেরা।
সালমার শিশুকন্যা জান্নাতি জানায়, গভীর রাতে ঘরের বেড়ায় কারা যেন ধাক্কাধাক্কি করেছিল। শব্দ শুনে বের হন মা। এরপর আর ঘরে আসেননি মা।
শাজাহানপুর থানা পুলিশের ওসি আজিম উদ্দীন বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগে কিছু বলা যাবে না।
এদিকে, এ ঘটনার খবর পেয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার ও গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।