নিজস্ব প্রতিবেদক : মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে মাত্র ৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল ‘অতি মারাত্মক’ ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে, সেই সঙ্গে কখনও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে খুলনা অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় থমথমে আবহাওয়া বিরাজ করছে। তবে বাতাসের গতিবেগের কারণে কখনো আকাশে রোদের আভা দেখা যাচ্ছে, আবার খানিকবাদে মেঘে ছেয়ে অন্ধকার হচ্ছে।
বুধবার (২০ মে) সকাল ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে (৩২ নম্বর) জানানো হয়, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্ফান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার (২০ মে) বিকেল অথবা সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই ক্ষুব্ধ রয়েছে।’
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে আগের ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেতের পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ (ছয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।