আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাব কতটা মারাত্মক হবে, জানা নেই। তবে যে কোনো পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। উপকূলীয় এলাকা থেকে তিন লাখ লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খবর আনন্দবাজার অনলাইন।
গতকাল মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিকদের কাছে সুপার সাইক্লোন আম্ফান মোকাবিলায় সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গের সাত জেলায় আম্ফান তাণ্ডব চালাতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। পূর্বাভাস জানার পর থেকেই সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং জেলায় জেলায় মাইক প্রচার চালিয়ে জনগণকে সতর্ক করা শুরু করেছিল প্রশাসন।
বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্যবর্তী কোনো অঞ্চলের উপরে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু দুর্যোগের আবহ মঙ্গলবার থেকেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া, কলকাতা এবং দুই চব্বিশ পরগনার অন্যান্য এলাকাতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাই বুধবার কোনো রকম ঝুঁকি না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝড় বিকেলের পরে আসবে বলে তার আগে পর্যন্ত সব কাজকর্ম স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারে, এমনটা যে ভেবে নেওয়া উচিত নয়, সে বার্তা এ দিন স্পষ্ট ছিল মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনে।
বুধবার ঝড় থেমে যাওয়ার পরেও বাড়ি বা আশ্রয়স্থল থেকে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। সাইক্লোনের মাথাটা ঝাপটা মেরে বেরিয়ে যাওয়ার পরেও অনেক ক্ষেত্রে ফের ঝড় ওঠে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।