অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার মিনিয়াপোলিসের জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত বরখাস্ত হওয়া চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বুধবার (৩ মে) অনিচ্ছাকৃত হত্যার (সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার) অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আর এই ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রকারভেদে ১৫ থেকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
আদালতের নথি অনুযায়ী পুলিশ কর্মকর্তা তৌ থাও, থমাস লেন ও জে আলেক্সান্ডার কুয়েংয়ের বিরুদ্ধে অনিচ্ছকৃত খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বেপরোয়াভাবে হত্যার অভিযোগও আনা হয়েছে। অন্যদিকে যে পুলিশ অফিসারের (ডেরেক চৌভিন) হাঁটুর আঘাতে ফ্লয়ডের মৃত্যু হয়েছে তার বিরুদ্ধে আগে থার্ড ডিগ্রি অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেটা বাড়িয়ে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডারের (অনিচ্ছাকৃত হত্যা) অভিযোগ আনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার অর্থাৎ বেপরোয়াভাবে ও অনিচ্ছাকৃতভাবে হত্যার দায়ে সর্বোচ্চ ৪০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। আর থার্ড ডিগ্রি মার্ডারের (বেআইনীভাবে অনাচ্ছিকৃত নরহত্যা) ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
মিনেসোটার অ্যাটর্নি জেনারেল ও সাবেক কংগ্রেসম্যান কেইথ এলিসন চার পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যেকের জামিনের বিপরীতে ১ মিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছেন। পাশাপাশি তিনি আশাবাদী প্রমাণ হাতে পেলে ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার অর্থাৎ ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার অভিযোগও গঠন করা যাবে।
এদিকে চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগ গঠন করার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে জর্জ ফ্লয়েডের পরিবার।
গেল মঙ্গলবার (২৬ মে) মিনেসোটার মিনিয়াপোলিস শহরে জালিয়াতির অভিযোগে ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর হাতকড়া পরিয়ে গলায় হাঁটু দিয়ে চেপে রাখায় শ্বাসরোধ হয়ে পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপরই শুরু হয় বিক্ষোভ। শুক্রবার পর্যন্ত বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও শনিবার রাত থেকে রূপ নেয় সহিংসতায়। যেটা এখনো চলছে।