নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় ও অনুকূল পরিবেশ আছে, উল্লেখ করে এ দেশে বিনিয়োগ করতে অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (১২ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর মারিসে আন পেইনির সঙ্গে গতকাল ফোনে আলাপকালে এ আহ্বান জানিয়েছেন এ কে আব্দুল মোমেন।
ড. মোমেন বলেছেন, ‘এ অঞ্চলের যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ লাভজনক। বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিদ্যমান। অন্য দেশ থেকে কোনো কোম্পানি এ দেশে বিনিয়োগ স্থানান্তর করতে চাইলে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে।
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাংলদেশ সরকার দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে চায়। বাংলাদেশ ১০০টি অথনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টি করছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলে তারা যেমন লাভবান হবে, বাংলাদেশিদেরও কর্মসংস্থান হবে। বাংলাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক এবং বিপুল সংখ্যক তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনগোষ্ঠী রয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নাগরিক নয়। সম্পূর্ণ মানবিক কারণে বাংলাদেশ সাময়িকভাবে তাদের আশ্রয় দিয়েছে। মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়ে রোহিঙ্গারা গভীর সমুদ্রে আশ্রয় নিলেও কোনো দেশ তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে না। অন্যান্য দেশেরও উচিত তাদের দায়িত্ব নেওয়া।
৪৮টি দেশের সংগঠন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা যাতে ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি বৃদ্ধি না পায় সে বিষয়ে এ ফোরামের উদ্যোগের বিষয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা কামনা করেন।
ড. মোমেন উল্লেখ করেন, জাতিসংঘে কমনওয়েলথের কোনো অফিস বা প্রতিনিধি না থাকায় জাতিসংঘের আলোচনায় এ সংস্থা সদস্য রাষ্ট্রেগুলোর স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। জাতিসংঘের আলোচনায় প্রতিনিধিত্ব থাকলে সংস্থা হিসেবে কমনওয়েলথের সক্ষমতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে।
করোনা মহামারিকালে অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ সে দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সহযোগিতার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন।