• বিশেষ প্রতিবেদক: মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তৃত রূপ ধারণ করায় রীতিমত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পরিস্থিতি। সর্বশেষ তথ্য মতে দেশের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ৬১৯ জন। আর মারা গেছেন ১ হাজার ২০৯ জন। যেখানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে রাজধানী ঢাকা। বিগত কয়েক দিনের পরিসংখ্যান আমলে নিয়ে তাই রাজধানীর চল্লিশোর্ধ্ব এলাকাকে সংক্রমণের রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে কঠোর লকডাউন ঘোষণার পাশাপাশি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।
এমন পরিস্থিতির মাঝে, বর্তমানে সংক্রমণের গ্রাসে পড়ে নিজেদের আশঙ্কার কথা তুলে ধরে স্থানীয় কাউন্সিলরের ‘চাঁদাবাজ লাঠিয়াল বাহিনী’র অপবাদ নিয়ে ঘরে ফেরা, করোনা প্রতিরোধে কাজ করা স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবক টিমের ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন তুরাগ এলাকার মানুষ। তারা বলছেন, শুরুতে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন কার্যকর করা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সচেতনতামূলক কাজ করে গেছে। কিন্তু বিশেষ মহলের চাপে তারা কাজে অব্যাহতি দেয়। বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, তাদের সেই কাজ অব্যাহত থাকলে তুরাগের অবস্থা হয়তো এমন এলোমেলো হয়ে যেত না। কেউ আবার বলছেন, স্বেচ্ছায় সেবা দিতে এসে অপমানের বোঝা নিয়ে ঘরে ফিরে গেছে স্থানীয় একদল তরুণ। তুরাগের বর্তমান যেন তাদের সেই মর্মপীড়ার অদৃশ্য অভিশাপে জর্জরিত!
গত এপ্রিল মাসে দেশের করোনা পরিস্থিতি প্রকট হতে শুরু করলে চরম আতঙ্কের মাঝে পড়ে শুরুতেই রেড জোনের তকমা পাওয়া- উত্তরা, মিরপুর ও রাজধানীর উত্তরাঞ্চল সংলগ্ন গাজীপুর অঞ্চলের একেবারে মাঝখানে কোনঠাসা হয়ে পড়া এই তুরাগ এলাকাটি। সে সময় তুরাগস্থ ডিএনসিসি ৫৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজের নেতৃত্বে স্থানীয় তরুণদের সমন্বয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম গড়ে তোলা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, এক পর্যায়ে একটি বিশেষ মহলের বিতর্কিত মন্তব্য ও অপরাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জেরে নিজেদের গুটিয়ে নেয় দলটি। স্বেচ্ছাবীদের এই দলটিকে নাম দেয়া হয় ‘স্থানীয় কাউন্সিলরের চাঁদাবাজ লাঠিয়াল বাহিনী’। কিন্তু সেই দুর্নামধারীদের জন্য এখন আকুতি কেন? এলাকাবাসী বলছেন, এই স্বেচ্ছাসেবক টিমের কার্যক্রম স্থবির হওয়ার পর থেকে ক্রমেই এলোমেলো হয়ে যায় এলাকার করোনাকালীন নিরাপত্তা কার্যক্রম। সেই সঙ্গে ক্রমেই পরিস্থিতি অবনতির দিকে যেতে থাকে যা বর্তমানে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।
স্থানীয়দের বক্তব্য, বিভিন্ন সূত্রের তথ্য ও বাস্তবিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এলাকাবাসীর এই দাবি সত্য বলেই প্রমাণিত হয়। রাজধানীতে করোনা পরিস্থিতি প্রকট হতে শুরু করে এপ্রিলের শুরুতেই। ক্রমান্বয়ে তা অবনতির দিকে ধাবিত হয়। বিশেষ করে উত্তরা ও মিরপুর এলাকা যখন সংক্রমণের প্রলয়ে বিপর্যস্ত, তখনও সরকারি তথ্য অনুসারে তুরাগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো শূণ্যের কোটায়। এপ্রিলের শেষ নাগাদ এলাকায় প্রথম দুইজন করোনা আক্রান্ত রোগির তথ্য জানা যায়। যাদের একজন চিকিৎসক ও অপরজন ব্যবসায়ী। বর্তমানে সুস্থ্য থাকা এই দুজনেই আক্রান্ত অবস্থায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক টিমের সহায়তা প্রাপ্তির কথা জানিয়েছেন। এরপর রাজধানীর অন্যান্য এলাকায় সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়তে থাকলেও ২ জনেই স্থির থাকে তুরাগের আক্রান্ত রোগির সংখ্যা।
মে মাসের মাঝামাঝি নাগাদ উল্লেখিত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সীমিত হয়ে আসে সেই স্বেচ্ছাসেবীদের তৎপরতা। এর এক সপ্তাহের মাথায় তুরাগে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ জনে। মে’র শেষদিকে স্বেচ্ছাসেবীদের
কার্যক্রম যখন চাঁদাবাজির অভিযোগ কাঁধে নিয়ে স্থবির হয়ে পড়ে, তার পরবর্তী মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে তুরাগে ঝেঁকে বসে করোনা। এরইমধ্যে এলাকাটিতে অন্তত ১২ থেকে ১৫ জন ব্যক্তির করোনা আক্রান্তের সুনিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ী, বিভিন্ন ফার্মেসি ও কয়েকটি পরিবারের তথ্য বিবেচনা করলে তুরাগে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত দুইশত বলে ধারনা করা যায়। শুধু তাই নয়, বিগত এক সপ্তাহে অত্র এলাকায় অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে বয়স্ক মৃত্যুর সংখ্যা। যাদের মধ্যে অন্তত একজনের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর নিশ্চিত তথ্য জানা গেছে। তবে বাকিদের ব্যাপারে এমন তথ্য না পাওয়া গেলেও একাধিক মৃতের পরিবারের অতিরিক্ত নিরবতা অশনি সঙ্কেত দিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় একজন অভিজ্ঞ ও বিশেষভাবে পরিচিত ওষুধ ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপকালে জানা যায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় মানুষ আমাদের কাছ থেকে রোগির জন্য ওষুধ ক্রয় করেন। গত ১২/১৫ দিন যাবত যে ধরনের ওষুধ অধিক পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে এবং চিকিৎসা পরামর্শের জন্য রোগিদের ডাক আসছে তা থেকে স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ী হিসেবে এ বিষয়টি ধারনা করা মোটেই কঠিন কাজ নয় যে এলাকায় করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। আকস্মিকভাবে নেব্যুলাইজার, শ্বাসকষ্টের নেব্যুলাইজিং মেডিসিন, ব্রিদিং ভেপ, অক্সিজেন ক্যানের মত চিকিৎসা সামগ্রীর চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় এই আশঙ্কা আরো ঘনীভূত হয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত হবার বা লক্ষণ দেখা দিলেও রোগি ও তারা পরিবারের সে তথ্য গোপন রাখার প্রবণতা থাকায় এ সংখ্যা নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে সরকারি তালিকায় সেটি নিবন্ধনও সম্ভব হচ্ছে না। মানুষ সচেতন না হলে সরকার তো ঘরে ঘরে গিয়ে এ কাজ করতে পারবে না। আর যে ভলেন্টিয়ার টিমটি কয়েকদিন এলাভিত্তিকভাবে এ কাজ করেছে তাদেরও এখন দেখা যায় না।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে তুরাগের এই তথ্যগুলো সঠিকভাবে এখনও সরকারি নথিতে উঠে আসেনি। কি করে আসবে? এই তথ্যগুলো এক সময় প্রতিদিন যারা দিন শেষে লিপিবদ্ধ রাখতো, তারাই এখন আর মাঠে নেই। অথচ এই গুরুদায়িত্ব পালনকারীদের অপবাদ দিয়ে তাড়িয়ে দিলেও পরে তাদের মত সে কাজটি সুনামের সঙ্গে করার সামর্থ্য হয়নি কথিত জনদরদিদের।
বিভিন্ন সূত্রের তথ্য মতে জানা যায়, এপ্রিলের শুরুতেই তুরাগের তরুণদের নিয়ে গড়ে ওঠা একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম কর্তব্যরত স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অবতীর্ণ হয় করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার দুঃসাহসি যুদ্ধে। সংক্রমণ প্রতিরোধে, সরকারি নির্দেশনার বিষয়গুলো মাথায় রেখে তারা পুরো এলাকাকে লকডাউন করে দেয়। যার নেতৃত্ব দেন ৫৪ নং ওয়ার্ডের টানা দু’বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ। এলাকার বাসিন্দা- একাধিক শিক্ষক, সাংবাদিক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী, সমাজকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে এই টিম। বিভিন্ন সময় তুরাগ থানা পুলিশ ও লকডাউনকালে এলাকায় টহলরত ভ্রাম্যমান সেনা ইউনিটের সঙ্গেও মাঠে কাজে করতে দেখা যায় তাদের।
মাসখানিক স্থানীয় পর্যায়ে সক্রিয় থাকলেও মে মাসের মাঝামাঝি নিজেদের গুটিয়ে নিতে থাকে তারা। জানা যায়, এই স্বেচ্ছাসেবক টিমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয় পর্যায়ে সরব হয়ে ওঠে একটি মহল। দাবি করা হয়, স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনলে বিষয়টি নিয়ে সরব হয় এই ‘বিশেষ মহল’। অন্যদিকে একাধিক স্বেচ্ছাসেবক সদস্যের দাবি এমন অভিযোগ উত্থাপনের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় স্বেচ্ছাসেবিদের হয়রানি ও লাঞ্ছিত করা শুরু হয়। এক পর্যায় সম্ভাব্য অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই নিজ নিজ ঘরে ফিরে যায় স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা।
এদিকে কতিপয় স্বেচ্ছাসেবীদের বিরুদ্ধে উল্লিখিত অভিযোগ আনা হলেও দাবিকৃত সে সকল চাঁদাবাজির ঘটনা কোথায় ঘটেছে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। এমনকি স্থানীয় থানা বা প্রশাসনিক পর্যায়ে খোঁজ নিয়েও এই স্বেচ্ছাসেবক সদস্যদের কারো বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি বা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়েরের তথ্যও নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বেচ্ছাসেবী টিমের এক সিনিয়র সদস্য বলেন, এমন নয় যে সাধারণ কোনো স্থানীয় বাসিন্দার নেতৃত্বে এ কাজ শুরু করা হয়। একজন কাউন্সিলর বিষয়টির তদারকিতে ছিলেন। চাঁদাবাজি করতে চাইলে তিনি এমন প্রকাশ্যে করবেন, এ দাবি হাস্যকর। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন কাজে এই টিমকে প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। তারা নিশ্চয় যাচাই না করে চাঁদাবাজদের সঙ্গে কাজ করেননি। যে সকল অভিযোগের কথা বলা হয়েছে তা শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। মানুষের জীবনের চেয়ে রাজনৈতিক আধিপত্য অর্জনই ছিল মূল লক্ষ্য। কাউন্সিলরের জনপ্রিয়তা নষ্ট করে, তাকে সমালোচিত করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার মরিয়া চেষ্টা মাত্র। সচরাচর যোগ্যদের দমাতে অযোগ্যরা যেমনটা করে থাকে আরকি। কিন্তু নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে তারা যেমন এলাকার মানুষের ক্ষতি করেছেন তেমনি শিক্ষিত ও পেশাদার স্থানীয় তরুণদের লজ্জিত করেছেন, যাদের অনেকেই অত্যন্ত সম্মানিত ও উঁচু পর্যায়ে সুনামের সঙ্গে দেশের সেবায় নিয়োজিত আছেন। আমরা কেউ কাউন্সিলরের কর্মী হিসেবে না, এলাকার ছেলে হিসেবে এ কাজে নেমেছিলাম।
এ প্রসঙ্গে ৫৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ বলেন, এই টিমটি যে একান্ত জনসেবার উদ্দেশ্যে গঠন করা হয়েছিল কিছু বিষয়ে নজর দিলেই ব্যাপারটি পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে। শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মত এলাকার স্থানীয় তরুণদের সংখ্যাই ছিল এ টিমে সর্বাধিক। তাদের কেউ প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। আর স্থানীয় অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিশ্চয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ কাজে আমার সহায়ক হননি।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতির অবনতির পেছনে ঢালাও ভাবে সরকারের কাঁধে দোষ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। কিন্তু রাজধানীর এই এলাকাটির পরিস্থিতি প্রমাণ করছে, সরকারের কিছু মহল যেমন স্বার্থপরতার দায়ে সরকারকে বিতর্কিত করছে ঠিক তেমনে স্থানীয় পর্যায়েও তুরাগের মত এমন আরো অনেক অজানা বিষয় রয়েছে যেগুলো এক্ষেত্রে দায়ি। দুর্নীতির মত ক্ষমতা প্রত্যাশি অপরাজনৈতিক চর্চাও যথেষ্ট ক্ষতি করছে জনগণের। কেউ ত্রাণ চুরি করছে আবার কাউকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে চোর বানানো হচ্ছে। কেউ কাজের নামে লুটপাট চালাচ্ছে আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ইতিবাচক কাজগুলোকে হিংসাত্মকভাবে অপবাদে জর্জরিত করা হচ্ছে। সর্বপোরি একটি বিষয়ই তাতে সামনে আসছে আর তা হলো, সংকটের মাঝেও নানা উদ্দেশ্যে চলমান এই সমন্বহীনতা এবং নিজেদের অযোগ্যতা ঢাকতে স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় রাজনীতিকদের হিংসাত্মক স্ববিরোধী আচরণ ও অপরাজনীতিকরণের চর্চা মানুষের সমস্যাকে কেবল প্রকট করে তুলছে যার জেরে নিরন্তন কাজ করে গেলেও বেড়েই চলছে সরকার বিরোধী সমালোচনা।
-প্রকাশিত প্রতিবেদনে সন্নিবেশিত তথ্যসমূহ সরেজমিন অনুসন্ধানে সংগৃহিত। তথ্যসূত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বার্থে প্রত্যক্ষভাবে তাদের নাম ও পরিচিতি উল্লেখ করা হয়নি। প্রয়োজন সাপেক্ষে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যসমূহের সত্যতা চ্যালেঞ্জ হলে তার গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ের প্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট প্রমাণাদি ও যৌক্তিক তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ্যে উপস্থাপন করা হবে। সেক্ষেত্রে প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আনত অভিযোগ মিথ্যা বা মানহানি সাপেক্ষে উদ্দেশ্যমূলক প্রমাণিত হলে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
সুত্রঃ যুবরাজ ভাইয়ের সমর্থন আইডি