শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরম পূরণে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে! ইভানা তালুকদার জনগণের মতামত নিয়েই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চায় বিএনপি: আমিনুল হক শিক্ষার্থীদের  ফরম পূরণের অনিয়য়ে শ্রেণি শিক্ষক দায়ী ; ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইভানা তালুকদার মানবিক সহায়তায় ৩০ মিলিয়ন ডলার দিল সৌদি আরব শেষ পর্যন্ত ইনিংস ব্যবধানেই হারলো বাংলাদেশ ‘ক্ষমতায় গেলে ১৮ মাসে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে’ আজ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্মদিন নতুন ৩ দিবসের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে সরকার সাবেক মন্ত্রী ইমরান ও প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বাস্তবতা, প্রস্তুতির বিকল্প নেই

ফরম পূরণে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে! ইভানা তালুকদার

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫
  • ১ বার পঠিত

হাফসা :
উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইভানা তালুকদার। এ সময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। ২৮জুলাই শনিবার
শ্রেণি শিক্ষকের অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইভানা তালুকদার বলেন এ ঘটনায় জন্য শ্রেণি শিক্ষকই দায়ী। তিনি আরো বলেন,এইচএসসি পরীক্ষার্থী
ঔ ছাত্রদের শ্রেণি শিক্ষক ড. মোঃ আমিনুর রহমানের দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাজ্জাদ হোসেন ও ইয়াছিন আরাফাত নামের দুই শিক্ষার্থী গত ২৬শে জুন হয়ে যাওয়া প্রথম এসএইচসি পরীক্ষা দিতে পারেনি। এ বিষয়ে তারা আজ প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে আবেদন নিয়ে আজও গিয়েছেন বলে তিনি জানান।
এর আগেও তারা কয়েকদফা
শিক্ষা বোর্ডে গিয়েও যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন ছাত্ররা যেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন,
উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজ সব সময় শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ কল্যাণ ও শিক্ষার সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, আজকের এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনার বিষয়ে আপনাদের অবগত করা এবং আমাদের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রদান করা।
তিনি বলেন,আজ আমরা উত্তরা হাইস্কুল এন্ড কলেজের ২০২৫ সালের HSC পরীক্ষায় সংঘটিত একটি গভীরভাবে উদ্বেগজনক ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ এবং এ বিষয়ে গৃহীত জরুরি পদক্ষেপ গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।
তিনি বলেন,অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ থেকে সর্বমোট ১৬১৩ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে মর্মে ১৬৯৩ জন শিক্ষার্থীরই ফরম পূরণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে আমি ১৬৯৩ অন শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ হয়েছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছি।

প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, দ্বাদশ শ্রেণির শ্রেণি শিক্ষক জনাব ড. মো. আমিনুর রহমান তাঁর দায়িত্বে ইচ্ছাকৃত অবহেলা ও অনিয়ম করেছেন। তাঁর দায়িত্ব ছিলো তাঁর শ্রেণির নিয়মিত শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ফরম যথাযথ ভাবে পূরণ ও জমা দেওয়া। তার শাখার সকল শিক্ষার্থী টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও ৮২ জন উত্তীর্ণ হয়। ড. মো. আমিনুর রহমান দুইজন উত্তীর্ণ মেধাবী শিক্ষার্থীকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দিয়ে তাদের স্থলে অন্য দুইজন ভুল শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করে জমা দেন। তিনি আরো বলেন,আমার মনে হয় এটি কোনো প্রক্রিয়াগত ভুল নয়, এটি একটি সুনির্দিষ্ট শিক্ষাগত অসদাচরণ ও নৈতিক লঙ্ঘন।

এক প্রশ্নের জবাবে ইভানা তালুকদার বলেন, আমরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য গভীরভাবে মর্মাহত। ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থী, তাদের পরিবার এবং সকল স্তরের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ আজ আমরা দুঃসময়ের মুখোমুখী হযেছি। এই ঘটনায় আমার সন্তানতুল্য দুই জন শিক্ষার্থীর যে ধরন্যের ক্ষতি হয়েছে তা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এই ঘটনায় আমরা সবাই এতটাই বিস্মিত, হকবাক হয়েছি যা ভাষার প্রকাশ করার মত নয়। এভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারো নেই। দায়ী বক্তির অবশ্যই শান্তি পেতে হবে।
দোষিদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,
ইতোমধ্যে, কলেজ কর্তৃপক্ষ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দোষী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাথমিক পদক্ষেপ স্বরূপ শ্রেণী শিক্ষক ড. মো. আমিনুর রহমানকে তৎক্ষণাৎ সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।পাশাপাশি ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছেন। কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তাঁর বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক শাস্তি ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পরীক্ষা দিতে না পারা
শিক্ষার্থীদের জন্য কি ধরনের প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,

ঘটনা জানামাত্র জরুরী ভিত্তিকে শিক্ষা বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে।

এছাড়াও অধ্যক্ষের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে জরুরি আবেদন পেশ করেছে-যেন এই দুই মেধাবী শিক্ষার্থী
মানবিক ও ন্যায়সংগত কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে।
এছাড়াও
ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার আর যেন পুণরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য তারা আরো সতর্কমূলক ও প্রযোজনীয় ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে বলে জানান।
এ সময় তিনি আবেগ আপ্লূত হয়ে বলেন এই ঘটনা শিক্ষকের চরম দায়িত্ব অবহেলা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। আমরা স্মৃতিময় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো এবং তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দায়ী এবং দোষী ব্যাক্তিকে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সহকারী অধ্যাপক শ্রেণী শিক্ষিকা দিল আফরোজ ডেইজি বলেন,আমাদের দুই সন্তান ইয়াছিন আরাফাত ও সাজ্জাদ হোসেন পরীক্ষা দিতে না পারার জন্য দায়ী শ্রেনী শিক্ষক ড. মোঃ আমিনুর রহমান। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ড.আমিনুর রহমান ছিলেন ঔ ক্লাসের অধ্যক্ষ। ইভানা তালুকদার হলো কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। কাজেই ঔ দুই শিক্ষার্থীর সকল প্রকার দায় দায়িত্ব ছিলো ওনার। তিনি আরো বলেন, এ কলেজে রয়েছে ১৫ থেকে ষোল হাজার শিক্ষার্থী,একজন অধ্যক্ষের পক্ষে সম্ভব নয় সকল শিক্ষার্থীর নাম রোল মুখস্থ রাখা। আমরা প্রায় ১৫-১৬ জন শ্রেণি শিক্ষক রয়েছি, মর্নিং শিপ্টে রয়েছে আনোয়ার হোসেন তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক, ডে শিপ্টে রয়েছে আরো ১জন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।আমরা যে কোন সমস্যা নিয়ে প্রথমে আমরা ওনাদের সাথে আলাপ করি। সমাধান না হইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্বরনাপন্ন হই। একজন শিক্ষকের ভুলের কারণে আজ আমরা জ্বলে পুরে ছারখার হয়ে যাচ্ছি।
টেস্ট পরীক্ষা এলাউ হওয়ার পর ও তাদের শ্রেণি শিক্ষক আমিনুর রহমান কি কারণে ছেলেদের ফরম ফিলাপে ঘাবলা করেছেন তাদের বোধগম্য নয়। আমরা শ্রেণি শিক্ষকরা এর সঠিক তদন্ত দাবি করছি,পাশাপাশি দোষী শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com