দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রবার্ট লেভান্ডোফস্কির প্রথম গোল করতে অপেক্ষা করতে হয়েছে মাত্র ১০ মিনিট। ম্যাচের আষ্টম মিনিটে লেভান্ডোফস্কিকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করায় পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। আর স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। এর ঠিক ১৪ মিনিট পরে লেভান্ডোফস্কির অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে দলকে ২-০’তে এগিয়ে নেন ইভান পেরিসিচ।
যদিও ম্যাচের ২৯তম মিনিট ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় চেলসি। হাডসন অডই ম্যানুয়েল নয়্যারকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ালেও ভিএআরে দেখা মেলে অফসাইডে ছিলেন অডই। তাই সে সময় আর ম্যাচে ফেরা হলো না ব্লুজদের।
তবে প্রথমার্ধের শেষের ঠিক মিনিট খানেক আগে নয়্যারের ভুলে বল পেয়ে যান টামি আব্রাহাম আর সেখান থেকে বাভারিয়ানদের জালে বল জড়াতে ভুল করেননি এই তরুণ ইংলিশ স্ট্রাইকার। প্রথমার্ধ শেষে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-১ গোলের।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম গোলের দেখা পেতে বাভারিয়ানদের অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৭৬ মিনিট পর্যন্ত। লেভান্ডোফস্কির দ্বিতীয় অ্যাসিস্ট থেকে টলিসো বায়ার্নের তৃতীয় গোলটি করেন। আর ঠিক মিনিট ছয়েক পরে নিজের দ্বিতীয় গোল করে চেলসির জালে গোলের হালি পূর্ণ করেন লেভান্ডোফস্কি। এবার তার গোলের যোগান দাতা রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ধারে খেলতে যাওয়া আলভারো অদ্রিওজোলা।
শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় ৪-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাভারিয়ানরা। আর দুই লেগ মিলিয়ে ৭-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে নিশ্চিত করে কোয়ার্টার ফাইনাল।
কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ মুখোমুখি হবে বার্সেলোনার। আগামী শনিবার তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে লড়বে দুই দল। ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে নাপোলিকে ৪-২ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে বার্সেলোনা।