শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫২ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

‘টাহা পয়সা সব লইয়া যা, তবু মোরে মারিছ না’

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০২০
  • ২৮৪ বার পঠিত

বরিশাল ব্যুরো: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অটোচালক আয়নাল হক, তার স্ত্রী খুকু মনি ও তিন বছরের মেয়ে আশফিয়া হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ ট্রিপল মার্ডারের মাত্র আট দিনে মূল হোতাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন- হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা অলি বিশ্বাস ও তার সহযোগী রাকিব। শুক্রবার ভোরে ওই উপজেলার ধানীসাফা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। অলি বিশ্বাস ওই গ্রামের তুজাম্বর আলীর বিশ্বাসের ছেলে, রাকিব একই গ্রামের কাওসার ব্যাপারীর ছেলে।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি আ.জ.ম. মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, ৮ জুলাই সাফা বন্দর কৃষি ব্যাংক থেকে ২০ হাজার টাকা তুলে বাড়ি ফেরার সময় আয়নাল হককে দেখে ফেলেন অলি বিশ্বাস। এছাড়া তার স্ত্রী খুকুর কিছু স্বর্ণালংকার প্রতিবেশীর কাছে রাখা ছিল। সম্প্রতি সেগুলো নিজের কাছে এনে রাখেন আয়নাল। ওই টাকা ও স্বর্ণ লুট করতেই ৩০ জুলাই রাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় অলি ও রাকিবসহ চারজন।

তিনি আরো জানান, শনিবার দুপুরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারদের দেয়া তথ্যে এ হত্যাকাণ্ড ও লুটপাটে ব্যবহৃত অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

চাঞ্চল্যকর এ ট্রিপল মার্ডারের মূল হোতা অলি বিশ্বাস ও তার সহযোগী রাকিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ

চাঞ্চল্যকর এ ট্রিপল মার্ডারের মূল হোতা অলি বিশ্বাস ও তার সহযোগী রাকিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ

শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে পিরোজপুরের এসপি হায়াতুল ইসলাম খান জানান, ব্যাংক থেকে তোলা টাকা ও আত্মীয়ের কাছ থেকে আনা স্বর্ণালংকার লুট করতে অলি বিশ্বাস ও রাকিবসহ চার মুখোশধারী সিঁদ কেটে আয়নাল হকের ঘরে প্রবেশ করে। এরপর পরিবারের সদস্যদের মারধর করে টাকা ও মূল্যবান মালামাল লুট করে। ওই সময় আয়নাল তাদের চিনে ফেলেন। এ কারণে স্ত্রী ও মেয়েসহ তাকে হত্যা করে অলি ও তার সহযোগীরা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অলি বিশ্বাস জানান, আয়নাল হক তাকে অনুনয়-বিনয় করে বলছিলেন ‘অলি, তুই মোরে মারিছ না। টাহা পয়সা যা আছে লইয়া যা।’ কিন্তু তাদের চিনে ফেলায় পরবর্তীতে ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে আয়নাল ও তার স্ত্রী খুকুর হাত বেঁধে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তারা। ওই সময় আয়নালের মেয়ে আশফিয়া কেঁদে ওঠায় তাকেও গলা টিপে হত্যা করেন। এরপর মরদেহ তিনটি ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রাখেন।

৩১ জুলাই সকালে মঠবাড়িয়ার ধানীসাফা গ্রামের একটি ঘর থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় অটোচালক আয়নাল হক, তার স্ত্রী খুকু মনি ও মেয়ে আশফিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ ট্রিপল মার্ডারে জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের মালেক, শামীম গাজী, আব্দুর রহিম, মাহবুব, শাকিল, শাহিনকে আটক করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com