কিন্তু জস বাটলার ও ক্রিস ওকস ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দারুণ চমক দেখালেন। যোগ করলেন ১৩৯ রান। দু’জনেই হাফ সেঞ্চুরি করলেন। এই জুটিটা যখন ভাঙ্গল তখন ইংল্যান্ড ম্যাচ জয় থেকে মাত্র ২১ রান দুরে দাড়িয়ে। জয়ের জন্য ৪ রান বাকি থাকতে ইয়াসির শাহ একই ভঙ্গিতে ফিরিয়ে দিলেন স্টুয়ার্ট ব্রডকেও। তবে একপ্রান্ত আঁকড়ে ক্রিস ওকস ইংল্যান্ডকে ৩ উইকেটের জয় এনে দিলেন। ক্রিস ওকস শেষ পর্যন্ত ১২০ বলে অপরাজিত থাকেন ৮৪ রানে।
বিপদে পড়া দলকে উদ্ধারের জন্য জস বাটলার ও ক্রিস ওকস শুরুতে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালান। তাদের এই কৌশল বেশ কাজে দেয়। পাকিস্তানের পেসার এবং স্পিনাররা এই আক্রমণে তেজ হারিয়ে ফেলে। চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে বাটলার এবং ওকস দু’জনেই হাফ সেঞ্চুরি পান। বাটলার ৫৫ বলে ফিফটি তুলে নেন। খানিকবাদে ৫৯ বলে হাফ সেঞ্চুরির হাসিতে ব্যাট তুলেন ওকস।
যেভাবে দু’জনেই ব্যাট করছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল এই জুটিতেই ম্যাচ জিতে ফিরবে ইংল্যান্ড। কিন্তু দিনের খেলা শেষ হওয়ার ১৫ ওভার আগে ইয়াসির শাহ’র স্পিনে ৭৫ রানে এলবিডব্লিউ হন বাটলার। ১০১ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় তার এই ৭৫ রানের ইনিংস ইংল্যান্ডকে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে জয়ের আসনে পৌঁছে দেয়।
তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ইংল্যান্ড এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট এই ওল্ড ট্রাফোর্ডেই শুরু হবে ১৩ আগস্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান ৩২৬ ও ১৬৯। ইংল্যান্ড ২১৯ ও ২৭৭/৭। ফল: ইংল্যান্ড ৩ উইকেটে জয়ী।