অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: অর্থ মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি মূল্যায়নে তিন মাস পর পর চার বিভাগের সমন্বয় বৈঠক হবে।
বুধবার (১১ আগস্ট) বেলা ৩টায় অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিবদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সমন্বয় বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ওই বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকের শুরুতে অর্থমন্ত্রী করোনা মহামারির মধ্যেও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জিত হওয়ায় এবং মাথাপিছু আয় ২০৬৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে তিনি দেশবাসী ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চারটি বিভাগ আমরা একটি টিম হিসেবে কাজ করছি। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতিধারা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য আমাদের নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেট সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সম্পদ মবিলাইজেশন এবং দক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনার প্রতি আমাদের যত্নশীল হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন ও সকল প্রকার জটিলতা নির্ধারণে আমরা প্রতি তিন মাস পর পর একটি সমন্বয় বৈঠক করে থাকি। করোনার কারণে গত কয়েক মাস আমরা বৈঠক করতে পারিনি। এখন থেকে নিয়মিত প্রতি তিন মাস পর পর এ বৈঠক হবে। এখন থেকে একেক সময়ে একেক বিভাগের দপ্তরে এ বৈঠক হবে। কাজ করার গতি যাতে ঠিক থাকে, তাই মাঝে মাঝে আমরা আমাদের পারফরম্যান্স রিভিউ করব এবং কীভাবে আমাদের মন্ত্রণালয়কে আরো এগিয়ে নিতে পারি সে বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করব। কর্মক্ষেত্রে যদি কোনো জটিলতা তৈরি হয়, আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো সমাধান করা হবে।
বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন অংশ নেন। সচিবগণ চার বিভাগের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব জানান, অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জুলাইয়ের রাজস্ব আদায়ের হিসাব এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে তুলনামূলকভাবে রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। এখন যেহেতু আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে, তাই রাজস্বও বাড়তে শুরু করেছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা সংশোধিত আকারে প্রণয়ণের অগ্রগতি অবহিত করেন। অর্থ সচিব বাজেট ঘাটতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।
পরবর্তী বাজেট কীরকম হবে, কোন কোন খাতগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, বৈঠকে সে বিষয়ে এখন থেকে কাজ শুরু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।