ক্রীড়া প্রতিবেদক: নিষেধাজ্ঞায় থাকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান সোমবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরছেন। করোনা টেস্ট ও কোয়ারেন্টাইন শেষে সাভারের বিকেএসপিতে নিজের ব্যক্তিগত ট্রেনিং শুরু করবেন এ ক্রিকেটার।
গত অক্টোবরে জুয়াড়ির কাছ থেকে পাওয়া তথ্য গোপন করায় এক বছরের জন্য সকল ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন সাকিব। নিষেধাজ্ঞায় এ থাকা ক্রিকেটার মাঠে ফিরতে পারবেন আগামী ২৯ অক্টোবর।
করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দেন সাকিব। সেখানে আগে থেকেই ছিল তার পরিবার। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের একটি হোটেলে ১৪ দিনের আইসোলেশন শেষে সাকিব পরিবারের কাছে যান। সাকিব ও উম্মে আহমেদ শিশির আহমেদের ঘর আলো করে গত ২৪ এপ্রিল এসেছে দ্বিতীয় কন্যা সন্তান। এর আগে তারকা দম্পতির কোলজুড়ে ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর আসে অব্রি।
ছয় মাস যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পর দেশে ফিরছেন বাংলাদেশের এ ক্রিকেট তারকা। বাঁহাতি অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, প্রথমবার এতোটা দীর্ঘ সময় যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়েছেন তিনি। এবার দেশে ফেরার পালা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই হয়ে সোমবার বিকেলে ঢাকায় পা রাখবেন সাকিব।
নিষেধাজ্ঞা শেষেই মাঠে ফিরতে মুখিয়ে সাকিব। এজন্য নিজ উদ্যোগে অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছেন। এজন্য নিজের বিদ্যাপিঠ বিকেএসপিকে বেছে নিয়েছেন। বিকেএসপিতে সাকিবের আবাসিক ক্যাম্প হবে। সেখানে তাকে ট্রেনিং করাবেন তার শৈশবের কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও মোহাম্মদ সালাউদ্দীন।
শনিবার নাজমুল আবেদীন ফাহিম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘সাকিব সোমবার ঢাকায় আসছে। বিকেএসপিতে ট্রেনিংয়ে যোগ দেওয়ার আগে তার করোনা টেস্ট ও আইসোলেশনে থাকতে হবে। এরপর বিকেএসপিতে অনুশীলন শুরু করবে।’
বিসিবির কোনো সুযোগসুবিধা সাকিব ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে জাতীয় দলের কোচরা তাকে একাকী ট্রেনিং করাতে পারবেন। সেটাও হতে হবে ক্রিকেট বোর্ডের সুযোগসুবিধার বাইরে।
অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা সফরে থাকবে বাংলাদেশ জাতীয় দল। তিন টেস্ট খেলবে স্বাগতিক দলের সঙ্গে। ২৪ অক্টোবর দুই দলের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলার সুযোগ আছে সাকিবের। এ ক্রিকেটারকে শেষ দুই টেস্টে দলে পাওয়ার প্রত্যাশায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
নাজমুল হাসান বলেন, ‘যখনই তার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে তারপর-ই সে আমাদের সাথে খেলতে পারবে। আমরা সবাই অধীরে আগ্রহে বসে আছি কবে সে ফিরবে।’