টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা করার অভিযোগ উঠে। গ্রাম্য সালিশে এর শাস্তি হিসেবে জুতাপেটা করা হয়। বিচারে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ওই গৃহবধূ বুধবার (২৮ অক্টোবর) সরোয়ার কাজীসহ তিন মাতব্বরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে এখনও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
আসামিরা হলেন, উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের নন্দপাড়া গ্রামের সরোয়ার কাজী (২৮) ও তার চাচা মাতব্বর মালেক কাজী, লোকমান কাজী ও সায়েদ কাজী। মামলার পর থেকে আসামিরা গাঢাকা দিয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূর স্বামীর আপন খালাতো ভাই সরোয়ার কাজী বিভিন্ন সময় তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ নিয়ে গৃহবধূ তার স্বামীর কাছে অভিযোগ দিলে বিষয়টি তিনি সরোয়ারের পরিবারকে জানায়। এতে উত্ত্যক্ত করা আরও বেড়ে যায়। রবিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুর ধলেশ্বরী নদীতে মাছ ধরতে যায়। এ সুযোগে সরোয়ার পাটখড়ির দরজা খুলে কৌশলে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে তার শাশুড়ি এগিয়ে আসে। তখন সরোয়ার পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মাতব্বর মালেক কাজী, লোকমান কাজী ও সায়েদ কাজীসহ বিচারের আশ্বাস দেন। এ নিয়ে সোমবার (২৬ অক্টোবর) মাতব্বরদের উপস্থিতিতে এক সালিশ বৈঠক হয়। বৈঠকে সরোয়ার ধর্ষণচেষ্টার কথা অস্বীকার করলেও মাতব্বররা তাকে দোষী করে ১০টি জুতার বাড়ি মারার ঘোষণা করেন। ওই গৃহবধূ সালিশের এ রায় না মেনে বুধবার (২৮ অক্টোবর) নাগরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলম চাঁদ শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।