মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৭ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

হযরত শাহ কবির (র:) মাজার ও অজানা ইতিহাস

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০
  • ৩৬৫ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধিঃ হযরত শাহ কবির (র:) মাজারের অজানা ইতিহাস  ওয়াক্ফ এস্টেট ই,সি, নং-৬৫৯, উত্তরখান, ঢাকা এর সৃষ্টি ও সার্বিক বর্তমান অবস্থা,

হযরত শাহ কবির (রহঃ) (কাবির খান্দেশ) ভারতবর্ষের উত্রেখান প্রদেশ হইতে ১৬০১ সালে এখানে আগমন করেনএবং এই উত্তরখানে এসে বসতি ও ধর্ম প্রচার শুরু করেন। যেহেতু উনি উত্রেরখান হইতে এখানে এসেছেন সেই কারনে অত্র এলাকার নামকরণ করা হয় উত্তরখান। এই ধর্মভীরু আধ্যাত্মিক সাধক হযরত শাহ্ কবির (রহ:)(কাবির খান্দেশ) ওনার মৃত্যুর পর এই স্থানে ভক্তরা তার মাজার শরিফ তৈরি করেন।২০১টি তফসিলভুক্ত দরগাহ্ বা মাজারসমূহেরমধ্যে হযরত শাহ্ কবির (রহঃ) (কাবির খান্দেশ)মাজারের অবস্থান ১৮নং, এবং ওয়াকফ্ প্রশাসকের তালিকা ভুক্তি নম্বর: ৬৫৯। হযরত শাহ কবির (রহ:)(কাবির খান্দেশ) এর মৃত্যুকালে দুই পুত্র সন্তান ছিল- একজন হযরত পাহাড়শাহ/পাগলাশাহযিনি বাবার মতই আধ্যাত্মিক সাধক ছিলেন। তিনি কোন সংসার জীবনযাপন করেন নাই। অন্য ছেলের নাম হযরত কায়সার খান/বাহারশাহ, তিনি সংসার জীবন যাপন করেন। পরবর্তীকালে (কাবির খান্দেশ) পরলোকগমন করার পর ভাওয়াল জমিদারগণ কায়সার গংদের এই জায়গা থেকে অন্যায়ভাবে উৎখাত করতে চাইলেন। কায়সার গং জনাব আনোয়ার রশিদকে অবহিত  করলেন যে, বাদশাহ আকবর এই মৌজা পূর্বেই হযরত শাহ্ কবির (রহ:) (কাবির খান্দেশ) কে লাখেরাজ হিসাবে দান করেছিলেন। এই বিষয়টি মুক্তাগাছায় নিযুক্ত আমিন যাচাই বাছাই করে এই সিদ্ধান্ত দিলেন যে, এই জমি পূর্ব থেকেই ঐ প্রতিনিধির (কায়সারের) দখলে ছিল, যা লাখেরাজ হিসাবে চিহ্নিত। এই ব্যাপারে ১০৬৬ (হিজরি) ১৬৫৬ খ্রি: তাকে সরকারিভাবে চিঠি দেয়া হয়, চিঠির ফায়সালার নির্দেশ মতে  শাসকেরা,কর্মচারীরা ও জমিদাররা এই পরগণার ও মৌজার ব্যাপারে এই নির্দেশ মান্য করবেন।পরবর্তীতে বাদশাহ আকবরে মৃত্যুর পর সম্রাট শাহজাহান এর দ্বিতীয় পুত্র শাহজাদা মোঃ শাহ সুজা  অত্র এলাকার শাসক ছিলেন। যখন খাজনা নির্ধারনের জন্য বলা হয় তখন আল মামালিকের মন্ত্রী এতেমাদুদৌল্লা কামারুদ্দিন খান বাহাদুর এই খাজনা সংক্রান্ত দেওয়ানী মামলায় নিযুক্ত হন। সরফরাজ খান বাহাদুর, ১১৩১ হিজরী, (১৭১৯ খ্রি:) সুজারুদ্দৌলা এই অঞ্চলের সুবেদার ছিলেন এর সময়কালে (বাদশা মাগফুর শাহ রেদোয়ান) দৈনিক ২০ রুপি খাজনা দিতে বলেন, কিন্তু দেওয়ানী মামলার বিচারকগন এই জমি খাজনাকে দৈনিক ২০ রুপি পরবর্তীতে দৈনিক ৩০ রুপি হারে খাজনা নির্ধারণ করেন এবং সেই মতে একটি চিঠি কাবির খান্দেশের পুত্র কায়সার গংদের প্রেরণ করেন।

১৯১৬ থেকে ২০০৪ ইং তারিখ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে হয়রত শাহ্ কবির (রহঃ) বংশীয়দের মোতাওয়াল্লী কার্যক্রম :
হযরত শাহ্ কবির (রহঃ) (কাবির খান্দেশ)পরলোক গমনের পর উনার পরবর্তী বংশধরগন উক্ত মাজার এস্টেট্টি পরিচালনা করেন এবং সি,এস (ঈঝ) জরিপ এর সময় উনারি পরবর্তী বংশধর সুফিয়া বানু উনার নামে সেবায়েত(মোতাওয়াল্লী) হিসাবে রেকর্ড ভুক্ত হয়। তবে যেহেতু সুফিয়া বানু ধর্মপ্রাণ একজন মহিলা মাজার রক্ষণাবেক্ষন করা কষ্টসাধ্য বিধায় উনি ওনার চাচা আব্দুল লতিফ খান উক্ত মাজার রক্ষণাবেক্ষণ পরিচালনা জন্য সম্মতি দেন।
ওয়াকফ্ এস্টেট সৃষ্টির ইতিহাস :
পরবর্তীতে ১৯৩৪ সালের বঙ্গীয় ওয়াকফ্ আইনে ১৯৩৪/৪৪ ধারা সৃষ্টি হইলে হযরত শাহ্ কবির (রহঃ) (কাবির খান্দেশ)এর পরবর্তী বংশধর আবদুল রকিব খান বিগত ৪/৬/১৯৩৫ইং সালে কলিকাতা ওয়াকফ্কার্যালয়ে এই সম্পত্তি ওয়াকফ্ এর অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি দরখাস্ত করেনযাহার পরিপ্রেক্ষিতে এই এস্টেটটি ওয়াকফ হয়যার ইসি নং-৬৫৯ এবং তখনকার আমলে এই এস্টেট এর মোতায়াল্লী ছিলেন আব্দুল রকিব খান, পিতা : আব্দুল লতিফ খান,উক্ত দরখাস্তটিতে স্পষ্ট লিপিবদ্ধ আছে যে আমার অবর্তমানে যিনি এই বংশে উপযুক্ত থাকিবেন এবং যাহার এই সম্পত্তি পরিচালনার ক্ষমতা ও পারদর্শিতা থাকিবে তিনি মোতাওয়াল্লী থাকিবেন। পরবর্তীতে এস.এ (ঝঅ) রেকর্ড এর সময় মোতাওয়াল্লী হিসাবে আবদুল রকিব খান এর নাম রেকর্ড ভূক্ত হয়। আর,এস (জঝ) রেকর্ড এর সময় মোতাওয়াল্লী হিসাবে আবদুল রকিব খান এর নাম রেকর্ড ভূক্ত হয়। আব্দুল রকিব খান এর পর উক্ত এই এস্টেট এর মোতাওয়াল্লী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন তাহার ভ্রাতা পুত্র  আব্দুল রাজ্জাক খান।
এখানে দেখা যায় যে, সরকারী জরিপ অনুযায়ী সি,এস (ঈঝ)  রেকর্ড হইতে (১৯১৬ সালে হইতে ২০০৪ সাল) অনুমানিক ৯০ বছর এই দীর্ঘ সময়ে হয়রত শাহ কবির শাহ্ (কবির খান্দেশ) ওনার বংশীয় লোকেরা পর্যায়ক্রমে উক্ত ওয়াকফ্ এস্টেট এর মোতাওয়াল্লী (সেবায়েত) এর দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
১৯৯৪ সালের হইতে ষড়যন্ত্রের সূত্রপাত :
১৯৯৪ সালে কিছু সংখ্যক কুচক্রীস্বার্থলোভী মহল এই এস্টেট সম্পত্তি ব্যবহার ও গ্রাস করার হীন মনমানসিকতা ও লোভ লালসার শিকার হয়ে  একটি ষড়যন্ত্র তৈরি করেন এবং তখনকার মোতাওয়াল্লী ছিলেন মোঃ রাজ্জাক খান,তিনি দেশে ছিলেন না। তার আনুপস্থিতিতেতার ছোট ভাই আবদুল অদুদখান কামাল কে এই এস্টেট পরিচালনার জন্য দায়িত্বভার দিয়ে যান। সেই সময় থেকেই ষড়যন্ত্রের সূত্রপাত শুরু হয়।
জনাব, মজির উদ্দিন এর অভিযোগের ভিত্তিতে ওয়াকফ্ প্রশাসন বিগত ২২/০৩/১৯৯৪ইং তারিখে আদেশ শুনানী অন্তে মোতাওয়াল্লী আব্দুল রাজ্জাক খান এর সকল কার্যক্রম স্থগিত করতঃ জেলা প্রশাসক ঢাকাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলেন,পরবর্তীতে ০৫/০২/১৯৯৫ইং তারিখে মোতাওয়াল্লী অপসারনের মামলাটি চুড়ান্ত নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসক ঢাকাকে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমোদন প্রদান করেন। বিগত ১৬/০৩/১৯৯৭ তারিখের এক আদেশে মোঃ রাজ্জাক খান কে মোতাওয়াল্লী বহাল রেখে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ঢাকাকে সভাপতি, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে সহ-সভাপতি ও ইউপি মেম্বার সহ ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠনের ওয়াকফ্ এস্টেটটি পরিচালনার জন্য অনুমতি দেয়। পরবর্তীতে কুচক্রী মহলের অদৃশ্য ক্ষমতার বলে মোঃ রাজ্জাক খানকে ০৪/০১/২০০৪ইং তারিখেমোতাওয়াল্লী পদ থেকে সুকৌশলে অপসারন করেন। তখন অত্র এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর উত্তরখান থানারসভাপতি পদে বহাল ছিলেন মোঃ কামাল উদ্দিন।
২০০৪ ইং হইতে ২০১৮ ইং পর্যন্ত কমিটির কার্যক্রম :
০৪/১/২০০৪ ইং তারিখে ৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে অনুমোদন দেয় ওয়াকফ্ প্রশাসন যার মেয়াদকাল ০৩/০১/২০০৬ইং পর্যন্ত ছিল। ঐ সময় থেকেই কুচক্রী মহল মোঃ কামাল উদ্দিন এর নেতৃীত্বে  তার সাথে আরও ছিলেন বর্তমান মসজিদের ইমাম ও খতিব ১। মোঃ লেহাজ উদ্দিন, যাহার কোন উপযুক্ত ইসলাম শিক্ষার সনদ নেই, ২। বশির উদ্দিন, ৩। ফরিদ উদ্দিন (মাষ্টার), ৪। গফুর মুন্সি, ৫। মোঃ জামান ৬। মোঃ খোকন, ৭। মোঃ আমজাদ, এবং নাম অজানা আরও অনেকেই অত্যন্ত সুকৌশলে ওয়াকফ্ এস্টেট এর জমি জমা আয় ব্যয় নিজেদের আয়ত্ত্বে নিয়ে নেন ও নিজেদের মতো করে উক্ত এস্টেটটি পরিচালনা করেন এমন কি ওয়াকফ্কৃত সম্পত্তিতে শতশত দোকান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ক্লাব, রাজনৈতিক ক্লাব, মোটা অংকের বিনিময়ে তৈরি করার অনুমতি দেন ও তৈরি করেন। যা ওয়াকফ্ আইন বহির্ভুত এমন কি চেয়ারম্যান এর কার্যালয় স্থাপন করেন, ওয়াকফ্ এস্টেট এর কোন অনুমতি গ্রহণ না করেই ও এর আয়-ব্যয় এর হিসাব ও দেন নাই ।
উপরোক্ত কমিটির মেয়াদকাল ছিলো ০৩/০১/২০০৬ ইং তারিখ পর্যন্ত কিন্তু এখানে দেখা যায় যে, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও কামাল উদ্দিন গং নিজেদের কে ০৪/০১/২০০৪ ইং তারিখের অনুমোদিত কমিটি বহাল আছে বলে এলাকাবাসিকে জানান এবং মাজারের সম্পত্তি অর্থ ও বিভিন্ন অনুদানের অর্থ গরু-ছাগল, হাস-মুরগী, আত্মসাৎ এ লিপ্ত থাকেন। এমনকি মাজার মসজিদ এর নামে ০৩ শতাংশ সম্পত্তি মাজারের দখলে না এনে তাহারি অনুসারি এই চক্রের একজন (মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে) মোঃ জামান এর সম্পত্তির সাথে মিলিয়ে ফেলেন। দীর্ঘ ০২ বৎসর অনুমোদিত কমিটি ছিল না বিধায় পরবর্তীতেওয়াকফ্ প্রশাসন ১৫/০৬/২০০৮ইং তারিখ হইতে  ১৪/০৬/২০১০ ইং পর্যন্ত। ২ (দুই) বৎসরের জন্য ৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা কমিটি অনুমোদন দেয়। মোঃ কামাল উদ্দিন এবং তার সহযোগী ফরিদ মাষ্টার, গফুরমুন্সি, লেহাজ উদ্দিন, বশির উদ্দিন, মোঃ জামান, মোঃ খোকন, আমজাদকে নিয়ে উক্ত কমিটির অন্য সদস্যদের অগ্রাহ্য করে ওয়াকফ্ প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত মসজিদ নির্মাণ এর জন্য এলাকাবাসি, বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান হইতে অনেক অর্থ চাঁদা স্বরুপ আদায় করেন এবং মসজিদটির নকশা করেন এবং মসজিদটি  নিমার্ণ করেন কিন্তু উক্ত মসজিদ নিমার্ণ এর জন্য জমাকৃত টাকার খরচ অথবা চাঁদার টাকা উত্তোলন এর কোন হিসাব নিকাশ সুনির্দিষ্ঠভাবে নেই, এমনকি এলাকাবাসিকেও জানান নাই। এমনকি ২০০৬ ইং তারিখে যেই মসজিদটির যেই নকশাটি করা হয়েছিলো সেই নকশার মধ্যে বর্তমানে কবর (মাজারটি) দেখানো আছে। ঐ সময়েই ওয়াকফ এস্টেট এর কোন প্রকার অনুমতি না নিয়ে নিজেদের ক্ষমতাবলে অবৈধভাবে ওয়াকফ্কৃত সম্পত্তিতে ওয়াসার পানির পাম্প স্থাপন করেন যা সম্পূর্ণ বে-আইনী এবং ওয়াকফ্ নিয়মবহির্ভুত।
১৪/০৬/২০১০ইং তারিখের উপরোক্ত কমিটির মেয়াদকাল শেষ হওয়ার ০১ দিন আগে ১৩/০৬/২০১০ ইং তারিখে উপরোক্ত কমিটির মেয়াদ নবায়নের জন্য মোঃ কামাল উদ্দিন গং ওয়াকফ্ প্রশাসন বরাবর আবেদন করেন। ইতিমধ্যে মোঃ কামাল উদ্দিন গং এর বিরুদ্ধে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক অভিযোগ/আপত্তি ওয়াকফ্ প্রশাসনে বরাবর দাখিল হয়। পরবর্তীতে ওয়াকফ্ প্রশাসক স্থানীয় ওয়াক্ফ পরিদর্শককে তদন্ত আদেশ দেয় এবং তদন্তে প্রকাশ পায়উক্ত ওয়াকফ্ এস্টেট সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে পারে নাই। তাই ওয়াকফ্ প্রশাসক, প্রাশসন নিয়োগ এর জন্য সুপারিশ করেন ২০/৬/২০১১ইং তারিখে ওয়াকফ্ প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জনাব মোঃ নুরুল আলম, সহকারী প্রশাসক (ঢাকা বিভাগ)কে হযরত শাহ্ কবির (রহঃ) ওয়াকফ্ এস্টেট এর নব-নিযুক্ত অফিসিয়াল মোতাওয়াল্লী কে ০৭ দিনের মধ্যে  মোঃ কামাল উদ্দিন ও (মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি)কেদায়িত্ব-ভার বুঝিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ ও আদেশ করেন। কিন্তু মোঃ কামাল উদ্দিন দায়িত্ব-ভার বুঝিয়ে না দিয়ে ওয়াকফ্ এস্টেটের আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে একটি রিট মামলা করেন, যাহার নং-৭৮৫৩/২০১১। এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় যে, যদি মোঃ কামাল উদ্দিন গং উক্ত ওয়াকফ্ এস্টেট হইতে ব্যক্তিগত ভাবে আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ না-ই করতেন তবে কেনও তাদেরকে কমিটি হইতে বাদ দেওয়ার পরেও উক্তি এস্টেট টি পরিচালনার জন্য মোঃ কামাল উদ্দিন গং হাই কোর্ট এ রিট করলেন। ইহাতে প্রামানিত হয় যে, তারা সকলেই উক্ত এস্টেট হইতে সরাসরি আর্থিক ও অন্যান্য বিষয়ে সুবিধা ভোগ করতেন এবং ৫ বছর মামলা করে সময় কালক্ষেপন করেন এবং অবৈধ ভাবে কমিটিতে থেকে সুবিধা নিতেন। যেমন দান বাক্স এর টাকা, দোকান ভাড়া, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভাড়া, পুকুরের মাছ বিক্রয় এর টাকা, বিভিন্ন দান ছদকা আত্মসাৎ করতে থাকেন। পরবর্তীতে রিট পিটিশনটি খারিজ হয়ে যায় ০২/১২/২০১৫ ইং তারিখে। পূনরায় কামাল উদ্দিন গং ০৫ সদস্য বিশিষ্ঠ ০১ টি কমিটি (প্রস্তাবিত) করে ওয়াকফ্ প্রশাসন বরাবর আবেদন করেন। বিগত ১৪/০৬/২০১০ ইং তারিখ হইতে ২৯/১১/২০১৮ ইং তারিখ পর্যন্ত ওয়াকফ্ এস্টেটে কোন বৈধভাবে নিয়োগকৃত কোন কমিটি ছিল না। এর মধ্যবর্তী ০৮ (আট) বছর সময়কাল নিজেকে সভাপতি দাবি করে মোঃ কামাল উদ্দিন গং তাহার সকল কার্যক্রম চালিয়ে যান।
বর্তমান ওয়াকফ্ এস্টেট এর নতুন কমিটির কার্যক্রম :
সর্বশেষ ওয়াকফ্ প্রশাসন ৭(সাত) সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ২৯/১১/২০১৮ ইং হতে পরবর্তী ৩ (তিন) বছরের মেয়াদে অনুমোদন দেয়া হয়। যাহার ১। সভাপতি ও অফিসিয়াল মোতাওয়াল্লী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ২। সদস্য সচিব, সহকারী কমিশনার (ভূমি)ক্যান্টনমেন্ট, ৩। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তরখান থানা ৪।  মোঃ কামাল উদ্দিন, ৫। হাজী আব্দুল ওয়াসেক ৬। প্রধান শিক্ষক, উত্তরখান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, ৭। মাওলানা মোহাম্মদ বিল্লাল হাসান, চাঁনপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, নতুন কমিটি গঠন করেন এমনকি বিতর্কিত মোঃ কামাল উদ্দিন কোন এ অদৃশ্য শক্তির ক্ষমতার বলে নতুন কমিটিতে ও নিজে সদস্য পদটি বহাল রাখেন।২৯/১১/২০১৮ ইং তারিখে নতুন কমিটির সভাপতি মহোদয় (অফিসিয়াল মোতায়াল্লী) উক্ত ওয়াকফ্ এস্টেট -এর নামে ব্যাংক হিসাব খোলেন। দেখা যায় যে, বিগত ০২ (দুই) বছরে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতন বোনাস, মাদ্রাসার ছাত্রদের খাওয়া খরচ,রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ভার এর খরচ যার আনুমানিক (৪০ লক্ষ থেকে ৪৫ লক্ষ ) টাকা খরচ করার পরও আনুমানিক (৩৫ লক্ষ থেকে ৪০ লক্ষ) টাকা ব্যাংক হিসাবে জমা আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com