ক্রীড়া ডেস্ক : ডিন এলগার, রাসি ফন ডার ডাসেন ও ফাফ দু প্লেসির পর নতুন দিনে কুইন্টন ডি ককের উইকেট নিলেন ইয়াসির শাহ। ১৭তম ফাইফারের জন্য আর একটি উইকেটের অপেক্ষা, তখনও দক্ষিণ আফ্রিকার আছে চার উইকেট। কিন্তু অভিজ্ঞ স্পিনারকে কোনও সুযোগই দিলেন না আগের দিন এইডেন মার্করামকে ফেরানো নওমান আলী। প্রোটিয়াদের শেষ চারটি উইকেট নিয়ে অভিষেকে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া ১২তম পাকিস্তানি বোলার হলেন তিনি।
৩৪ বছর ১১১ দিন বয়সে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় নওমানের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৮টি ‘ফাইফার’ তার নামের পাশে। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টে এবার সেই কীর্তি গড়লেন বাঁহাতি স্পিনার। নওমানের আগে পাকিস্তানের জার্সিতে অভিষেক টেস্টের এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন বিলাল আসিফ, যে কীর্তি আরও আছে তানভীর আহমেদ, ওয়াহাব রিয়াজ, ইয়াসির আরাফাত, শাব্বির আহমেদ, মোহাম্মদ সাামি, শহীদ আফ্রিদি, মোহাম্মদ জাহিদ, শহীদ নাজির, মোহাম্মদ নাজির ও আরিফ বাটের।
সবচেয়ে বেশি বয়সী স্পিনার হিসেবে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার তালিকায় চার নম্বরে নওমান, আর যে কোনও ধরনের বয়স্ক বোলারের তালিকায় সপ্তম। টেস্ট অভিষেক ম্যাচে সেরা বোলার হিসেবে তার অবস্থান ছয় নম্বরে। ৭৩ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি করাচি টেস্টে।
তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানি স্পিনারদের কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়ে তারা। ১ উইকেটে ১৭৫ রান করা দলটি দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২৪৫ রানে। চতুর্থ দিন প্রথম বলেই কেশব মহারাজকে বোল্ড করেন হাসান আলী। অধিনায়ক ডি কক ফিরে যান ২ রান করে।
এরপর শুরু হয় ‘নওমান শো’। পাঁচ ওভার বল করে চারটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। মাত্র ১১ রানের ব্যবধানে শেষ চার ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফেরেন। জর্জ লিন্ডেকে ইমরান বাটের ক্যাচ বানান নওমান। পরের ওভারে কোনও উইকেট পাননি। তার পর কাগিসো রাবাদাকে করেন বোল্ড। আনরিখ নর্টিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফাওয়াদ আলমকে ক্যাচ দেন। আর ৪০ রানে প্রতিরোধ গড়া তেম্বা বাভুমা হন এলবিডাব্লিউ। আর এই উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েন নওমান।