জার্মানিতে টানা তুষারপাতের কারণে এখনো স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। দেশটির ব্যস্ত মহাসড়গুলোতে বুধবার রাত পর্যন্ত আটকে ছিল অসংখ্য যানবাহন ও মালবাহী ট্রাক-লরি। সেই সঙ্গে স্বাভাবিক হয়নি আকাশ, স্থল ও নদীপথ। কমেছে তাপমাত্রা, বেড়েছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা।
জার্মানিতে কিছুট কমেছে ভারি তুষারপাত। কিন্তু জমে যাওয়া বরফ ও উত্তর মেরু থেকে আসা ঠাণ্ডা বাতাসে তাপমাত্রা কমছে প্রতিনিয়ত। বুধবার রাতে দেশটির অঙ্গরাজ্য থুইরিঙ্গেনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মাইনাস ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পুলিশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোর সহায়তায় মহাসড়কগুলোতে যানজট কিছুটা কমতে শুরু করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে বরফে আটকে যাওয়া অসংখ্য যানবাহন। তবে এখনো অনেক লরি মহাসড়কগুলোর দু’পাশে পার্কিং করাতে চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে অন্যান যানবাহনকে।
এক নারী জানান, মহাসড়কগুলোর কথা কি আর বলব, শুনেছি বরফে এখনো অনেকেই আটকে আছেন। অনেক চালক ও আরোহীর রাত কাটছে গাড়িতেই। এই অবস্থায় মহাসড়কগুলোতে গাড়ি বের না করার অনুরোধ সবার কাছে। সবকিছু মিলিয়ে ধৈর্য ধরার বিকল্প কিছু দেখছি না।
এদিকে লাগাতার ভারি তুষারপাতে দেশটির উত্তরের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে উত্তর মেরুর ঠাণ্ডা বাতাসে নাকাল স্থানীয়সহ সেসব অঞ্চলে বসবাসরত প্রবাসীরা।
হাসিব আল হাসান বলেন, আমরা তুষারপাতে বিপর্যস্ত। ঘর থেকে বের হতে পারি না। রাস্তায় গাড়ি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।
দেশজুড়ে এমন তুষারপাত ও শীতে কমেনি ভয়ংকর করোনার প্রকোপ। ২৩ লাখেরও বেশি সংক্রমণের পাশাপাশি মারা গেছেন ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ। তাই ১৭ ফেব্রুয়ারির লকডাউন আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কেল প্রশাসন।