বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, অমর একুশের চেতনা বাঙালি জাতির কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বুকের রক্ত দিয়ে গেছেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরো অনেকে। বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বাংলা ভাষা। ১৯৪৮ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনের ব্যাপারে ছাত্রদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। তার দিক নির্দেশনায় পরিচালিত হয়েছে ভাষা আন্দোলন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়ে আমাদের মাতৃভাষাকে সমুন্নত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ছে, বিশ্বময় বাংলা ভাষা ছড়িয়ে পড়ছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রবিবার সকালে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জুলকারনাইন ডালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ইসলামি ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৯৯ সালে সরকারি জোর প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। অত্যন্ত দুঃখজনক যে আমরা আমাদের ভাষাকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারছি না। সাইনবোর্ড লেখা হয় ইংরেজিতে। আদালতের রায় বাংলায় লেখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকলেও এখনও ইংরেজীতে লেখা হচ্ছে। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, বাংলা ভাষা সংরক্ষণে আরো জোরদার ভূমিকা রাখতে হবে। এ দেশে এখনো অনেক ভাষাসৈনিক জীবিত আছেন, যাঁরা অতিকষ্টে জীবন যাপন করছেন। তাঁদের পাশে সবাইকে দাঁড়াতে হবে।
ভাষা শহীদ রফিক ও বরকতের পরিবারের পাশে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট সব সময় রয়েছে বলেও আলোচনা সভায় জানান আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান।
তিনি হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, রাজনীতি এবং সামাজিক ব্যবস্থায় যে অবক্ষয় দেখা দিয়েছে তার মূলে রয়েছে বিদেশি অপসাংস্কৃতির আগ্রাসন। বিশ্ব দরবারে বাংলাকে এবং বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ ও উচ্চ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে হলে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।