করোনাকালে ভার্চুয়াল আদালত শুরু হওয়ার পর ৭ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে মোট ১৩ হাজার ৬০৭ হাজতি জামিন পেয়েছেন। ২৩ হাজার ৭৮৪টি মামলার ভার্চুয়াল শুনানিতে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকালে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ১২ এপ্রিল (সোমবার) থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে পুনরায় দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে নিম্ন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন ও জরুরি ফৌজদারি আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে। যা অব্যাহতভাবে চলছে।
তিনি আরও জানান, গতকাল বুধবার (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত সারাদেশে অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে ২ হাজার ৮৩১টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি হয় এবং ১ হাজার ৩৪৯ জন হাজতি অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন।
এর আগে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ সামাল দিতে সরকার প্রথম দফায় ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে শপিংমল, দোকান-পাট, হোটেল-রেস্তারাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
ওইদিন রাতেই সীমিত পরিসরে দেশের আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত আসে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছ থেকে। গত ৫ এপ্রিল রাতে এ সংক্রান্ত আলাদা তিনটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এসব বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ এপ্রিল থেকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুধু আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত, হাইকোর্টের চারটি বেঞ্চ চালু থাকবে। আর মুখ্য বিচারকি হাকিম বা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত সীমিত পরিসরে চালু থাকবে, তবে সব অধস্তন আদালত বা ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এরপর গত ১৩ এপ্রিল আরেক বিজ্ঞপ্তিতে ভার্চুয়ালি সীমিত পরিসরে আপিল বিভাগের বিচারকাজ পরিচালনার কথা জানানো হয়। এর আগের দিন অর্থাৎ গত ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যেটিকে সর্বাত্মক লকডাউন হিসেবে বলা হচ্ছে। এ সময়ে ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।