শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইট ওয়াশ করার সুযোগ হারালেও, এবারই প্রথম সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। এই সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। আর উইকেট শিকারের তালিকায় শীর্ষে আছেন লঙ্কান পেসার চামিরা। সময়টা ভালো না কাটলেও মাশরাফির সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় ভাগ বসিয়েছেন সাকিব এই সিরিজেই।
মোস্ট ডিপেন্ডেবল মুশফিক। তার ওপর ভরসা করা যায় বলেই তিনি আস্থার প্রতিক। শ্রীলঙ্কা সিরিজেও ব্যাট হাতে টাইগারদের কাণ্ডারি তিনি। প্রথম দুই ম্যাচে তার ব্যাট হেসেছে তাই সিরিজ ঘরে উঠেছে। তিনিই সিরিজ সেরা। এক সেঞ্চুরি আর এক ফিফটিতে করেছেন ২৩৭ রান। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় মুশিই শীর্ষে।
সেরা পাঁচের বাকি তিনজন লঙ্কানদের। সেখানে নেই তামিম সাকিব কিংবা লিটনের নাম। এটা অবশ্যই হাতাশার। কিন্তু নিরাশ করেননি কুশাল পেরেরা। শেষ ওয়ানডেতে ১২০ রান করে ঠেকিয়েছেন হোয়াইট ওয়াশ। ১৬৪ রান করে আছেন তালিকায় দুইয়ে। দুই ফিফটিতে সাইলেন্ট কিলার মাহমুদুল্লার রান ১৪৮। পরের দু’জন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা আর গুনাথিলাকা।
বোলিংয়ে শীর্ষস্থানটা দখলে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। মান বাঁচানোর ম্যাচে জলে উঠেছিলেন লঙ্কান পেসার চামিরা। তার আগুনে বোলিংয়ে শর্ষে ফুল দেখে টাইগাররা বিলিয়ে দিয়ে এসেছে ৫ উইকেট। আগের দুই ওয়ানডেতে নিয়েছেন আরও চারটি। মাত্র ৩.৭৮ ইকোনমি রেটে শিকার ৯ উইকেট। স্ট্রাইক রেট আর গড়টাও তার দারুণ।
শীর্ষ পাচেঁর পরের দুইজন টাইগার বোলার। প্রায় সাড়ে তিন ইকোনমি রেট ধরে রেখে স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ নিয়েছেন ৭ উইকেট। অনেকটা কিপ্টে বোলিং করে তার চেয়ে এক উইকেট কম নিয়ে তিনে মুস্তাফিজ। সান্দাকান আর তাসকিনের সমান চার উইকেট। কিন্তু টাইগার স্পিড স্টার ছিলেন বেশ খরুচে।
তিন ম্যাচের সিরিজে দলীয় সবচেয়ে বড় সংগ্রহ লঙ্কানদের ৬ উইকেটে ২৮৬। সমান উইকেটে টাইগারদের সংগ্রহ ২৫৭। সর্ব নিম্নে বাংলাদেশের ১৮৯। আর শ্রীলঙ্কার ৯ উইকেটে ১৪১। ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বেশি গড় মুশফিকের ৭৯। বোলিংয়ে মিরাজের ১৫.১৪।
পাওয়া না পাওয়ার খেরো খাতায় হিসেব মেলাতে পারেননি সাকিব। ব্যাট হতে মাত্র ১৯ আর উইকেট নিয়েছেন তিনটি। একই তালিকায় তামিম ইকবালকে রাখলেও খুব দোষে কিছু হবে না। আর লিটন, মিঠুনদের কথা নাই বা বললাম। তবে স্বস্তির জায়গা একটাই ওডিআই সুপার লিগের শীর্ষে উঠা।