অনলাইন ডেস্ক : ওজন কমানোর রেসে বিশ্বের অনেক মানুষই দৌঁড়াচ্ছেন। তবে সবাই কি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছেন! করোনাকালে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। কী খাবেন বা কোন ব্যায়াম করবেন, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার যেন শেষ নেই।
তবে ওজন কমানোর মূলমন্ত্র হলো শরীরচর্চা ও ডায়েটের পারফেক্ট কম্বিনেশন। নিয়মিত আপনি তা অনুসরণ করলে ওজন হারানো সময়ের বিষয় মাত্র। সবারই একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে করোনাকালে অতিরিক্ত ওজন বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
পুষ্টিবিদরা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে ওজন কমাতে বাদাম কীভাবে কাজ করে কিংবা কোন বাদাম খেলে ওজন দ্রুত কমে? এমন প্রশ্ন সবার মনেই ঘুরপাক খায়।
শুকনো ফল অপরিহার্য পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ। যা আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে পরিপূর্ণ রাখে এবং ক্ষুধা কমায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত যারা বাদাম খান; তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়াও স্থূলতার ঝুঁকি রোধ করে। জেনে নিন কীভাবে বাদাম ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং কোন বাদাম ডায়েটে রাখবেন-
আমন্ড বা কাঠবাদাম : কাঠবাদাম পুষ্টির পাওয়ারহাউস। শুধু ওজন কমাতেই নয়; শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচতে কাঠবাদাম দৈনন্দিন ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে ওজন কমে যায়, বিপাকীয় হার বৃদ্ধি পায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল বন্ধ হয় এবং খারাপ লিপিড স্ট্রেন কমে যায়।
একমুঠো কাঠবাদাম ক্ষুধা মেটাতে সাহায্য করে এবং পেটের চর্বি ও সামগ্রিক বডি মাস ইনডেক্স কমাতে সাহায্য করে। কাঠবাদামে প্রচুর মনোঅনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ফাইবার থাকে।
চিনাবাদাম : এই বাদামে আছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পলিউনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড। যা শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ কমায়। চিনাবাদাম শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়।
এ ছাড়াও দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে স্ন্যাকস হিসেবে সঙ্গে রাখতে পারেন চিনাবাদাম। এটি সহজলভ্য বলে সবার কাছেই এই বাদামের কদর বেশি।
আখরোট : আখরোট মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য সুপরিচিত। তবে জানেন কি, আখরোটে এএলএ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম থাকে। যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, হজমে উন্নতি করে এবং শরীরে চর্বি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আখরোটে থাকে প্রচুর প্রোটিন, খনিজ এবং ভিটামিন। আখরোট খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। আখরোটের পুষ্টি মস্তিষ্কে রাসায়নিক সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায়, যা ক্ষুধার অনুভূতি কমায়। অতিরিক্ত সুবিধার পেটে আপনি সারারাত আখরোট ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে পারেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া