ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে শরণার্থীরা ব্রিটেনে প্রবেশ করলেই রুয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে খরচ হবে ১২০ মিলিয়ন পাউন্ড। যদিও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল।
শরণার্থীরা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলে তাদের ব্রিটিশ মালিকানাধীন বিভিন্ন দ্বীপে পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা গত বছর থেকে চললেও এবার এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গরূপে সিদ্ধান্ত এসেছে বরিস সরকারের পক্ষ থেকে।
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ব্রিটেনে ঢুকলেই পরবর্তী গন্তব্য হবে চার হাজার মাইল দূরের দেশ রুয়ান্ডায়। এমন ঘোষণা দিলেন ব্রিটিশ সরকার বরিস জনসন। এ বিষয়ে রুয়ান্ডা সরকারের সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে।
২০২০ সালে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিল ৮ হাজার ৪০৪ জন। গত বছর যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৫২৬ জনে। এমনকি চলতি সপ্তাহেও প্রায় ৬০০ জন চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছেন। এ অবস্থায় উদ্বেগ বাড়তে থাকায় এ উদ্যোগ বলে জানায় ব্রিটিশ প্রশাসন।
যদিও ব্রিটিশ সরকারের এ ঘোষণার পর থেকে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে দেশটির বিভিন্ন মহলে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো একে অমানবিক বলে আখ্যা দিয়েছে।
এদিকে চুক্তি অনুযায়ী রুয়ান্ডায় আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীরা দীর্ঘমেয়াদি অভিবাসন সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছে রুয়ান্ডা সরকার।
অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ব্রিটিশ সরকার আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন প্রক্রিয়াকরণের সময় তাদের মধ্য আফ্রিকান দেশ রুয়ান্ডায় পাঠাতে চায় । ইতোমধ্যে ব্রিটিশ সরকারের প্রস্তাবে সায় দিয়ে চুক্তিও সম্পন্ন করেছে দেশ রুয়ান্ডা। এখন অপেক্ষা শুধু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের।