বর্ষা মৌসুম আসার আগেই হঠাৎ পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি বাড়ার কারণে তলিয়ে গেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাট। এতে ৫ নম্বর ফেরিঘাটের সংযোগ সড়কসহ পন্টুনের এক-তৃতীয়াংশ রয়েছে পানির নিচে।
ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে এ ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার বন্ধ রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এ করণে দৌলতদিয়া প্রান্তে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। ফলে ঢাকামুখী অনেক যাত্রী ঘাটে এসে ফিরে যাচ্ছে বাড়িতে।
শুক্রবার (২০ মে) সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দেখা যায়, পানিবৃদ্ধির কারণে দৌলতদিয়া প্রান্তের ৫ নম্বর ফেরিঘাটের সংযোগ সড়কসহ পন্টুনের এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে রয়েছে। এতে ওই ঘাটটি বন্ধ রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে সাত শতাধিক যানবাহন। এগুলোর মধ্যে শত শত যাত্রীবাহী বাস রয়েছে। মধ্যরাতে ফেরিঘাটে আসা বাসগুলো এখন পর্যন্ত ফেরিতে উঠতে পারেনি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থেকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। যানজটে আটকা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানগুলোর ভুগছে দুই দিন ধরে।
ঘাট-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে ফেরিঘাট রয়েছে মোট ৭টি। এর মধ্যে ৩, ৬ ও ৭ নং ফেরিঘাট বর্তমানে সচল রয়েছে। বাকি ঘাটগুলো বিভিন্ন কারণে বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি পানি উঠে যাওয়ায় ৫ নং ফেরিঘাটও এখন বন্ধ রয়েছে। মাত্র তিনটি ঘাট সচল থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ঘাট সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
যাত্রী ও চালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত বর্ষা মৌসুমে দৌলতদিয়ার বেশির ভাগ ফেরিঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ঘাটগুলোর স্থায়ী সংস্কার না করে জোড়াতালি দিয়ে চালাচ্ছিল। দৌলতদিয়ার ৭টি ফেরিঘাটের মধ্যে এখন সচল রয়েছে মাত্র ৩টি ঘাট। এতে দক্ষিণবঙ্গ থেকে আসা ঢাকামুখী যানবাহন ও যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, হঠাৎ নদীতে পানি বাড়ার কারণে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ঘাট তলিয়ে গেছে। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িক সময়ের জন্য ঘাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩টি ঘাট সচল রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে এই নৌরুটে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাট সংকটের কারণে আমাদের ফেরি চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে।