কালিয়াকৈরে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত গৃহবধূ কালিয়াকৈর উপজেলা চাপাইর এলাকার ভজন দাসের মেয়ে মুক্তা দাস (১৯)। মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের চাপাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর আগে প্রেমের মাধ্যমে সুত্রাপুর ইউনিয়নের নেপাল দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় মুক্ত দাসের। বিয়ের পর থেকেই স্বামী নেপাল ও তার বাবা-মা এবং বোন মুক্তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। স্বামীর পরিবার বিয়ের পর থেকেই তাকে মেনে নিতে পারেননি। এ বিষয় নিয়ে কয়েকবার গ্রাম্য সালিশও হয়েছে। তবে নেপাল দাস প্রেমের বিয়ে হলেও স্ত্রী হিসাবে তাকে মেনে নিতে পারেনি। পরে নেপাল ভারত যাবে বলে মুক্তা দাসকে তার বাবার বাড়িতে রেখে যায়।
মুক্তা দাস স্বামীকে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করে নেপাল জানিয়ে দেন আমি ভারত চলে আসছি এখন দেশে আসা যাবে না। পরে বেশিরভাগ সময়ে মুক্তা দাস তার বাবার বাড়ি থাকতেন।
গত সোমবার মুক্তার মা দিপালী দাস মেয়ের শ্বশুরকে খবর দিলে মুক্তাকে এসে নিয়ে যায়। মুক্তা শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পর থেকেই স্বামী নেপালের ছোট বোন নির্যাতন করেন
একপর্যায়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে মেয়েটি ঘরে প্রবেশ করে। এরপর অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও মেয়েটি দরজা না খোলায় ডাকাডাকি করতে থাকে। পরে দেখা গেছে মেয়ে মুক্তা দাস ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
কালিয়াকৈর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রকিবুল হোসেন জানান, খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।