ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর কর্নেল সাঈদ খোদাইকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসরাইল। গেল রোববার তেহরানে নিজের ঘরের বাইরে একটি গাড়িতে বসে থাকা অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী এক বন্দুকধারী তাকে গুলি করে হত্যা করে।
বুধবার (২৫ মে) দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসরাইল। কর্নেল সাঈদ খোদাইকে হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি। আর এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ‘বৈশ্বিক ঔদ্ধত্য-শক্তিকে’ দায়ী করে বিপ্লবী গার্ডস বাহিনী।
ইসরাইলসহ মার্কিন মিত্রদের বোঝাতে ইরান এই বিশেষণ ব্যবহার করছে।
এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আমেরিকান কর্মকর্তাদের ইসরাইল জানিয়েছে যে, তারা এই হত্যার পেছনে রয়েছেন। কুদস ফোর্সের মধ্যে গোপন গোষ্ঠীগুলোর অভিযান বন্ধে ইরানকে হুঁশিয়ারি দিতে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। ইরানের মতাদর্শিক সামরিক বাহিনী বিপ্লবী গার্ডসের বিদেশি অভিযানের শাখা হলো কুদস ফোর্স।
সাঈদ খোদাইকে কুদস ফোর্সের একজন সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমগুলো। এর আগে খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় কর্নেল সাঈদের একটা পরিচিতি আছে। সেখানে প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদের বাহিনীকে সমর্থন দিতে সামরিক উপদেষ্টা মোতায়েন করেছে ইরান।
মঙ্গলবার তেহরানের মধ্যাঞ্চলে সাঈদ খোদাইর দাফনে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। রাজধানীর শীর্ষ ইমাম তার জানাজা পড়িয়েছেন। জাতীয় পতাকা দিয়ে তার কফিন মোড়ানো ছিল। তাকে শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
এমন এক সময়ে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে, যখন বিশ্ব শক্তিগুলোর সঙ্গে ইরানের পরমাণু আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। চুক্তিতে যেসব শর্তের কথা ইরান বলছে, তাতে বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীকে মার্কিন সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। যদিও সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র।