কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বরেণ্য সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও গীতিকার আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। শনিবার (২৮ মে) দুপুরে শহীদ মিনারে নিয়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নিয়ে আসা হয়। এদিকে দুপুর ১টা ১৩ মিনিটে তার মরদেহে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এ সময়ে উপস্থিতি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির ননক।
এর আগে শনিবার (২৮ মে) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ বহনকারী বিমান পৌঁছায়। সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে মরদেহ গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ঢাকায় জানাজাসহ আনুষ্ঠানিকতা শেষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে তার মরদেহ চিরশায়িত করা হবে।
গত ১৯ মে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
জানা গেছে, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার প্রিয় স্বদেশভূমিতে স্ত্রীর কবরের পাশে তার মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ২০ মে পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেইন মসজিদে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর প্রথম জানাজা হয়। পরে পূর্ব লন্ডনের ঐতিহাসিক শহীদ আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এরপর ২৩ মে সোমবার বাংলাদেশ হাইকমিশন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর স্মরণে পূর্ব লন্ডনে এক মিলাদ মাহফিল ও শোকসভার আয়োজন করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সর্বস্তরের জনতার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর জানাজা হবে। সেখান থেকে বিকেল ৪টায় তার মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় প্রেসক্লাবে নেওয়া হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে সেখানে স্ত্রীর কবরের পাশে সমাহিত করা হবে।