সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা অনেক বেশি মেধাবী ও প্রতিভা সম্পন্ন। মহান সৃষ্টিকর্তা তাদের বিশেষ মেধা, গুণ ও দক্ষতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। সরকার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বিকাশ ও কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘর নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে ‘চিত্রকলা এবং অটিজম নিয়ে জীবনযাত্রা: বালক রাজা আদিল হক’ শীর্ষক আদিল হকের একক চিত্র প্রদর্শনীতে শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম খালিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের হাত ধরেই বাংলাদেশ অটিজম নিয়ে সর্বাগ্রে কাজ শুরু করে। তার উদ্যোগের ফলে সরকার স্বাস্থ্যখাতে খাতভিত্তিক কর্মসূচিতে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত ডিজঅর্ডারকে অন্তর্ভুক্ত করে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিসহ সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সরকারের পক্ষ থেকে মাসিক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। সারাদেশের সব উপজেলায় অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিশেষ শিশুদের জন্য বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
উল্লেখ্য, প্রদর্শনীটি আজ থেকে শুরু হয়ে ১০ জুন পর্যন্ত চলবে। এতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (অটিস্টিক) শিল্পী আদিল হকের আঁকা ১১৫টি চিত্রকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পাচ্ছে। করোনা মহামারির লকডাউনকালীন সময়ে শিল্পী আদিল হক তিনটি সিরিজ যথাক্রমে ‘বাংলাদেশের ফোক আর্ট’, ‘বাংলাদেশীদের জীবিকা’ ও ‘মিশরের রাজা তুতানখামুনের সমাধির গুপ্তধন’ শিরোনামে এসব চিত্রকর্ম এঁকেছিলেন।
অটিস্টিক আদিল হকের মা ডা.লীডি হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ডিন প্রফেসর নিসার হোসেন ও বিশিষ্ট ভাস্কর প্রফেসর হামিদুজ্জামান খান।