হুমায়ুন কবির: হাজারো বাধাবিপত্তি আতিক্রম করে জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রত্যয়ে দেশের বৃহত্তম পদ্মা বহুমুখী সেতুর কাজ শেষ । পদ্মা সেতু এখন দেশের দক্ষিনাঞ্চলের কোটি মানুষের স্বপ্ন নয় বাস্তব। আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু আর ২৬ তারিখ ৬ টা থেকেই উম্মুক্ত হবে সর্ব সাধারনের জন্য। “পদ্মাসেতু” এটি শুধু একটি সেতু নয়, উন্নত আধুনিক বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতিক। এই সেতু বদলে দেবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট। গোটা দক্ষিণাঞ্চলের চেহারা ইতোমধ্যে বদলে গেছে বহুক্ষেত্রে। দক্ষিণাঞ্চলে গড়ে উঠবে শিল্পযজ্ঞ, বাড়বে কর্মসংস্থান। স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিয়ে একান্ত আলাপ কালে এমনটাই বলছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও সফল ব্যবসায়ী নীপা গ্রুপ অব ইন্ডিাষ্ট্রিজ লিমিটেড এবং কে,সি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ খসরু চৌধূরী (সিআইপি) ।
তিনি বলেন, এ সেতু উদ্বোধনের মতো জাতীয় উৎসব দেশের ইতিহাসে আর হবে না কখনো। উদ্বোধনের আগেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই সেতু দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন কয়েক লক্ষ লোকের সমাগম হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে “কে. সি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৫ হাজার বোতল পানি বিতরন করবে কে. সি ফাউন্ডেশনের সেচ্ছাসেবীরা।
খসরু চৌধূরী বলনে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে ১৯৯৮ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। ওই মেয়াদেই ২০০১ সালের ৪ জুলাই প্রকল্পের মাওয়া অংশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। আট বছরের ব্যবধানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসে ২০০৯ সালে। আবারও ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণ চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। বিশ্বব্যাংক মিথ্যা দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সেই সেই ঋণচুক্তি বাতিল করে। এ অবস্থায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে প্রকল্পটি। অবশেষে বিশ্বব্যাংককে বাদ দিয়েই নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনা। একমাত্র শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মত অসম্ভব কাজ সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরোও বলেন,পদ্মা সেতুর ফলে দুটি নৌবন্দর মোংলা ও পায়রা এবং স্থলবন্দর বেনাপোলকে ঘিরে অর্থনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টি হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় রেললাইনও যুক্ত হওয়ায় চিন্তাই করা যাবে না যে কী ধরনের অর্থনৈতিক তৎপরতা বাড়বে। পদ্মা সেতুকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন স্থানীয়দের ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক হবে। সেতু হওয়ার পর আদি পেশা বদলে এখন অনেকেই পর্যটনকেন্দ্রিক নতুন ব্যবসা কিংবা অন্য যে কোন ব্যবসার মননিবেশ করবে। ইতিমধ্যে দক্ষিনঅঞ্চলে নীপা গ্রুপ অব ইন্ডিাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর একটি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরির সদ্ধান্ত নিয়েছেন আলহাজ্ব মোঃ খসরু চৌধূরী। যেখানে প্রায় ৫০০০ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
পদ্মা সেতু ঢাকা সিটির জন্যও বিরাট গুরুত্ব আছে। এই সেতুর ফলে দক্ষিনঅঞ্চলের লোকেরা বাড়ি থেকে এসে ঢাকা অফিস করতে পারবে ফলে ঢাকা শহরে জনগনের চাপ অনেকটা কমে যাবে। ক্লনি এবং গ্রীন ঢাকা তৈরির ক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি সকল ব্যবসায়ীদের প্রতি দক্ষিনাঞ্চলে বিনিয়োগের আহবান জানান।