সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

নতুন গবেষণায় মিলল হৃদ্‌রোগ ঠেকানোর মহৌষধের

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০২২
  • ১২৪ বার পঠিত

হজমপ্রক্রিয়া থেকে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুষ্টিবিদরা বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন। নতুন এক গবেষণায় বিটের এক নতুন গুণের হদিস মিলেছে। গবেষণায় জানা গেছে, বিটের রস ধমনীর প্রদাহ ঠেকাতে সাহায্য করে, যা করোনারি হার্ট ডিজিজের অন্যতম কারণ।

কী এই রোগ?

করোনারি আর্টারি ডিজিজ মূলত হৃদ্‌যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ধমনীর রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ধমনী সরু হয়ে যায়। ধমনীর ভিতরের দেয়ালে কোলেস্টেরল জমতে শুরু করলে এ সমস্যা হতে পারে। এ সময় ধমনীর দেয়ালে প্রদাহ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এ পরিস্থিতি বাড়তে বাড়তে এক সময় হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, বিটের রসের গুণেই করোনারি হার্ট ডিজিজের আশঙ্কা কমে। বিটের কোন গুণে এমনটা সম্ভব?

বিটের রসের মধ্যে অজৈব নাইট্রেট পাওয়া যায়। এ যৌগ শরীরে নাইট্রেট অক্সাইড তৈরি করে যার অ্যান্টি ইনফ্ল্যামাটরি গুণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, যাদের হৃদ্‌রোগের সমস্যা রয়েছে, তাদের শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা কম হয়। কারণ যে এনজাইম এটা তৈরি করে তা কম সক্রিয় হয়। বিট সে অভাব পূরণ করে মহৌষধের মতো কাজ করে।

শুধু তা-ই নয়, বিট এন্ডোথেলিয়াম কোষের কার্যকারিতা বাড়াতেও সাহায্য করে। এ কোষ রক্তবাহী নালির ভিতরে থাকে যা রক্তবাহী নালিকাগুলিকে ঠিক মতো চালাতে সাহায্য করে। ফলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে।

এ ছাড়া আরও যে সব গুণ রয়েছে বিটের:

১) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
২) পেশির শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৩) গবেষণায় দেখা গেছে, ডিমেনশিয়া রুখতেও নাকি কার্যকর বিট।
৪) ক্যালোরির মাত্রা কম থাকায় এবং প্রায় কোনো ফ্যাট না থাকায় ওজন ঝরানোর পরিকল্পনা করলেও ডায়েটে এ রস রাখতে পারেন।
৫) শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করার জন্য বিট খুব কার্যকর। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, বিট রক্তে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়ায়। একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে তাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com