বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্বব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে। জাতিসংঘের সংস্থাটির পক্ষ থেকে এটিই সর্বোচ্চ সতর্কতার মাত্রা। খবর সিএনবিসির।
শনিবার ডব্লিউএইচও ঘোষণা দিয়েছে, বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্সের বিস্তার আন্তর্জাতিক উদ্বেগের পাশাপাশি জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতার পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
সারাবিশ্বের সরকারগুলো ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কঠোরভাবে চেষ্টা চালালেও এটি আরো ছড়িয়ে পড়ার ‘সুস্পষ্ট ঝুঁকি’ রয়েছে।
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস জানান, ডব্লিউওএইচও মাঙ্কিপক্সকে পুরো দুনিয়ার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি হিসেবে দেখছে। বিশ্বের ৭৫টির বেশি দেশে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ এখন পর্যন্ত এ রোগে শনাক্ত হয়েছে।
এ পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে এ ধরনের আরো দুটি স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা রয়েছে – করোনভাইরাস মহামারি এবং পোলিও নির্মূলের অব্যাহত প্রচেষ্টা। তবে সঠিক কৌশলের মাধ্যমে মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ভাইরাল সংক্রমণ। যা সাধারণত মৃদু হয়। বেশিরভাগ আক্রান্ত ব্যক্তি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যান। ভাইরাসটি খুব সহজে মানুষের মধ্যে ছড়ায় না এবং ব্যাপক হারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি খুব কম।
এখন পর্যন্ত মাংকিপক্সে আক্রান্তদের নির্দিষ্ট ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতিও নেই। পরিসংখ্যান অনুসারে, স্মলপক্সের টিকা ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে কাজ করে।
জাতিসংঘের সংস্থাটির পক্ষ থেকে এটিই সর্বোচ্চ সতর্কতার মাত্রা। ২০০৭ সালে চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইবোলা, জিকা, কোভিড-১৯, পোলিওসহ মাত্র ছয়টি রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য এ সতর্কতা জারি করেছে তারা।