আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার তদন্ত কমিটির প্রধান আলেকজান্ডার বেসট্রিকিন ইরান, সিরিয়া ও বলিভিয়াসহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রকে নিয়ে এ আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তাছাড়া এরই মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর ৯২ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসট্রিকিন।
গতকাল সোমবার আলেকজান্ডার বেসট্রিকিন সরকারি একটি সংবাদ সাইট রস্যিকায়া গেজেটাকে জানান, এরই মধ্যে এক হাজার ৩০০টি অপরাধের তদন্ত শুরু হয়েছে।
৯২ জনের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মামলা করা হয়েছে। মামলা হওয়া সদস্যদের মধ্যে ৫১ জন ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর কমান্ডার যাঁরা রাশিয়ার ওয়ান্টেড তালিকায় আছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ইউক্রেন শান্তি ও মানবিক নিরাপত্তাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
সাক্ষাত্কারে ইউক্রেনের জাতিসংঘ সমর্থিত বিচারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বেসট্রিকিন অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা খোলাখুলিভাবে ‘ইউক্রেন জাতীয়তাবাদ’কে সমর্থন করে। তাই তাদের বিচার প্রক্রিয়ায় সন্দেহ থেকেই যাবে।
রাশিয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনও নিজেদের মতো করে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত চালাচ্ছে। এ মাসে ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার ২১ হাজারের বেশি যুদ্ধাপরাধ ও সহিংস অপরাধের তদন্ত শুরু করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ‘অভিযানের’ পরপরই তারা এ তদন্ত শুরু করেছে এবং গত মে মাসে প্রথমবারের মতো কয়েকটি অপরাধের রায়ও দিয়েছে। এর একটি রায়ে রাশিয়ার ট্যাংক কমান্ডারের বিরুদ্ধে বেসামরিক মানুষ হত্যার দায়ে কারাদণ্ড দিয়েছেন ইউক্রেনীয় আদালত। তবে রাশিয়ার আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইউক্রেনকে ‘অপরাধ সংঘটনের দৃশ্যপট’ বলে ব্যাখ্যা করছে। অপরাধ তদন্তে তারাও ইউক্রেনে তদন্তকারী দল ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছে।
তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা সব ধরনের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো। তারা বলছে, ইউক্রেন নিজেই নিজেদের অবকাঠামো ও বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সূত্র : বিবিসি ও আলজাজিরা।