ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বাহন ট্রেন। তবে দুর্ঘটনার সংখ্যার দিক থেকেও তেমন পিছিয়ে নেই বাহনটি। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮৯ সালের ১৫ জানুয়ারি টঙ্গীতে। দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ওই সময় প্রাণ হারিয়েছেন ১৭০ জন।
১৯৮৩ সালের ২২ মার্চ পাবনার ঈশ্বরদীর কাছে ঘটেছিল ভয়াবহ আরেকটি দুর্ঘটনা। ওই সময় সেতুর স্প্যান ভেঙে একটি ট্রেনের কয়েকটি বগি শুকনো জায়গায় পড়ে ৬০ জনের প্রাণহানি ঘটে।
এর প্রায় দুই বছর পর অর্থাৎ ১৯৮৫ সালের ১৩ জানুয়ারি খুলনা থেকে পার্বতীপুরগামী সীমান্ত এক্সপ্রেসের কোচে আগুন ধরে ২৭ জন নিহত হন। ঠিক পরের বছরই (১৫ মার্চ) কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার কাছে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নদীতে পড়ে নিহত হন ২৫ জন যাত্রী। ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে হিলিতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের সঙ্গে আরেকটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি যাত্রী নিহত হন।
প্রায় ১৫ বছর পর ২০১০ সালে নরসিংদীতে চট্টগ্রামগামী একটি ট্রেনের সঙ্গে ঢাকাগামী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিথর হয়েছিলেন ১২ জন। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সিগন্যাল অমান্য করে মূল লাইনে ঢুকে পড়ায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ১৬ জন নিহত হন।
সবশেষ শুক্রবার চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন।