পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ এমভি জাহিদ-৩ থেকে নদীতে পড়ে যাওয়া শিশু ওসমান গনি জুয়েলকে ২ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করেছেন জেলেরা। শিশুটি একটি বালতি ধরে ভেসে ছিল পটুয়াখালীর আগুনমুখা নদীতে।
রোববার দুপুরের পর লঞ্চের পেছনে গোসল করতে গিয়ে শিশুটি নদীতে পড়ে যায়।
শিশু জুয়েল ওই লঞ্চে বাবুর্চির সহকারী হিসেবে কাজ করতো। শিশুটি বর্তমানে গলাচিপার পানপট্টি ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জুবায়ের খানের হেফাজতে রয়েছে।
এমভি জাহিদ-৩ লঞ্চের স্টাফ শিপন জানান, তাদের লঞ্চ দুপুর ২টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রাঙ্গাবালীর কোরালিয়া ঘাট ত্যাগ করে। এর বেশ কিছুক্ষণ পর বাবুর্চির সহকারী জুয়েল লঞ্চের পেছনে গোসল করছিল। লোহার বালতি দিয়ে নদী থেকে পানি ওঠানোর সময় ভারসাম্য হারিয়ে নদীতে পড়ে যায় সে। তারা বিষয়টি টের পেতে পেতে লঞ্চ অনেকদূর এগিয়ে যায়। পরে মোবাইলে নিশ্চিত হয়েছি শিশুটিকে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করেছে।
গলাচিপার পানপট্টি ইউপির চেয়ারম্যান মাসুদ রানা জানান, আগুনমুখা নদী থেকে একটি ছেলেকে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করেছে। বর্তমানে ছেলেটি ইউপি সদস্য জুবায়ের খানের হেফাজতে রয়েছে।
ওই এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জুবায়ের খান জানান, তার এলাকার কয়েকজন জেলে আগুনমুখা নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় একটি ছেলেকে লঞ্চ থেকে পড়ে যেতে দেখে। এ সময় এক জেলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুইশ মিটার সাঁতরিয়ে ছেলেটিকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। উদ্ধারের সময় ছেলেটির হাতে একটি বালতির রশি বাঁধা ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ছেলেটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে।
গলাচিপা থানার ওসি শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। বর্তমান শিশুটি ওই এলাকার ইউপি সদস্যের হেফাজতে রয়েছে। শিশু শ্রমিক পড়ে যাওয়ার পরও লঞ্চটি কেনো চালিয়ে গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।