পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি হাসান আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার ১৯ দিন পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে আটোয়ারী থানা পুলিশ৷ জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউপির জেমজুট এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়৷ তবে বাড়ি থেকে অটোতে করে আটোয়ারী যাওয়ার সময় ফায়ার সার্ভিস মোড়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
জানা গেছে, হাসান আলী আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারীর মালগোবা এলাকার মৃত আমিনার রহমানের ছেলে৷
পুলিশ জানায়, বিয়ের কথা বলে গত ৬ আগস্ট গভীর রাতে ওই কিশোরীকে ডেকে এনে আটোয়ারী উপজেলার পূরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দর পাড়া গ্রামের একটি চা বাগানে আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী মালগোবা গ্রামের মৃত আমিনার রহমানের পুত্র প্রেমিক হাসান আলী, একই গ্রামের সমিজুল ইসলামের ছেলে রাজু ইসলাম, পুরাতন আটোয়ারীর মৃত গিয়াসউদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, ফতেহপুর গ্রামের খামির উদ্দিনের ছেলে মো. সবুজ, আব্দুর রহমানের ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে ডিপজল, খাজিম উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম ও কৈলাসের ছেলে অমর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পরদিন ওই কিশোরীর বাবা আটোয়ারী থানায় ৭ জনের নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ হাসানের বন্ধু আটোয়ারী উপজেলার মালগোবা একই গ্রামের সমিজুল ইসলামের ছেলে রাজু ইসলাম ও পুরাতন আটোয়ারীর মৃত গিয়াসউদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ মামলার প্রধান আসামি হাসানসহ এজাহার ভুক্ত ৩ আসামিকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। রাজু ও সাইফুল বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছে।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা জানায়, ৯৯৯-এ ফোন করে অবহিত করলে জেমজুট এলাকা থেকে হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে আটোয়ারী থানার ওসি সোহেল রানা মামলার প্রধান আসামি হাসানকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আগামীকাল শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, মামলার প্রধান আসামি হাসানসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষণ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।