শনিবার (২৭ আগস্ট) ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া ম্যানচেস্টার সিটি দ্বিতীয়ার্ধে জয় পেয়েছে ৪-২ ব্যবধানে। হ্যাটট্রিক করে এদিন জয়ের নায়ক আর্লিং হালান্ড।
ইতিহাদে এদিন দুই অর্ধে ম্যানসিটি যেন খেলিয়েছে ভিন্ন দুই দল। প্রথমার্ধে ঈগলদের বিপক্ষে নাস্তানাবুদ হওয়া সিটিজেনরা দ্বিতীয়ার্ধে খেলেছে দারুণ ফুটবল। প্রথমার্ধে স্টোন্সের আত্মঘাতী গোল ও ইয়োয়াখিম অ্যান্ডারসনের গোলে পিছিয়ে পড়া সিটির হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান কমান বার্নার্দো সিলভা।
এরপর ম্যাচের পুরোটা আলো কেড়ে নিয়ে হ্যাটট্রিক করেন হলান্ড। ইতিহাদে এদিন শুরুতেই যেন গতবারের পুনরাবৃত্তির ইঙ্গিত। চতুর্থ মিনিটেই আত্মঘাতী গোল খায় সিটি। প্যালেসের ফ্রি-কিক সিটি ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকারের কাঁধ ছুঁয়ে আরেক ডিফেন্ডার জন স্টোন্সের পা ছুঁয়ে জালে জড়িয়ে যায়।
২১ মিনিটে ইতিহাদ স্টেডিয়াম নিস্তব্ধ করে দেন ইয়োয়াখিম অ্যান্ডারসন। সতীর্থের কর্নারে বক্সে জোরাল হেডে বল জালে পাঠান ডেনমার্কের ডিফেন্ডার।
২০১০ সালের পর এই প্রথম ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে সিটিজেনরা। প্রথমার্ধে নিজেদের ছায়া হয়ে থাকা সিটিজেনরা একটা শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নিজেদের খুঁজে পায় সিটিজেনরা। ৫৩ মিনিটে ব্যবধান কমান পর্তুগিজ তারকা বার্নার্দো সিলভা। এরপর ম্যাচের বাকি গল্পটা শুধুই হলান্ডের। ৬২ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। ৭০ মিনিটে ফের গোল করেন এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। এরপর ৮১ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন হলান্ড। এবার ইলকায় গুন্দোগানের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে গোল করেন এই ২২ বছর বয়সী।
এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠেছিল সিটি। তবে রাতেই আর্সেনাল জয় পাওয়ায় ফের দুই নম্বরে নেমে গেছে সিটিজেনরা।
৪ ম্যাচ শেষে ৩ জয়ে ১০ পয়েন্ট সিটির। সমান ম্যাচের সব কয়টিতে জয় তুলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে আর্সেনাল।