ধর্ষণচেষ্টা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ৫নং পূর্ব ধইর পশ্চিম ইউপির চেয়ারম্যান রহিম পারভেজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকার ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে কুমিল্লার নারী নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ৩ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
আদালতের বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেন মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন।
এ মামলার ইউপি চেয়ারম্যান রহিম পারভেজ ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- হাটাশ গ্রামের আবদুস সাত্তারের ভাগিনা জসীম, সুবল হাজীর ছেলে কাউছার, হিড়াপুর গ্রামের তবদল হোসেনের ছেলে হাবিব ও একই গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে জলিল।
বাদীপক্ষের আইনজীবী কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ তানভীর আহমেদ ফয়সাল মামলার বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট মধ্যরাতে ইউপি চেয়ারম্যান রহিম পারভেজ গত ইউপি পরিষদ নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ না করাসহ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে নির্বাচন করায় দলবল নিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও মামলার ২ নং আসামি আবদুস সাত্তারের ভাগিনা জসীম। সেই দৃশ্যের একাধিক মোবাইলে স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে চেয়ারম্যানের অপর সহযোগীরা। পরে ওই নারী ধস্তাধস্তি করে কোনোরকমে ঘর থেকে বের হয়ে শোর চিৎকার করলে চেয়ারম্যান পারভেজ ও তার সঙ্গীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ওই ঘটনাটি কাউকে না জানাতে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং পরে ধারণকৃত ওই ঘটনার ভিডিও ও অর্ধনগ্ন ছবি তাদের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে আপলোড করে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে ৫নং পূর্ব ধইর পশ্চিম ইউপির চেয়ারম্যান রহিম পারভেজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রহিম পারভেজ বলেন, ওই গৃহবধূর অভিযোগ সত্য নয়। এ ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। তখন আমি ঢাকায় অবস্থান করেছি।