মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪২ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

ডায়মন্ড ব্যবসার আড়ালে খবির উদ্দীনের পুরো পরিবারই পিকে হালদারের অর্থ কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত!

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৪৩ বার পঠিত

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মুখে থাকা প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিংয়ের সাবেক পরিচালক ও আল হাসান ডায়মন্ড গ্যালারীর মালিক খবির উদ্দীনের দুই মেয়েসহ পরিবারের ১১ সদস্যের পাসপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। পাশাপাশি আগামী এক মাসের মধ্যে এই পরিবারটির মাধ্যমে পাচার হওয়া ১৯৬ কোটি টাকার ৫ শতাংশ টাকা জমা দিতেও বলেছে আদালত। বুধবার শুনানি নেওয়ার পর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়।

চক্রের বাকীরা হলেন- খায়রুল হাসান, কোহিনূর মাতবর, মাসুদ মাতবর, মো. আব্দুস সোবহান, আতাউর রহমান, শিরিণ আহমেদ, সোনিয়া আহমেদ, শহিদুজ্জামান ও আশরাফ খান।

র‌্যাব বলছে, প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের সহযোগী খবির উদ্দীনের দুই মেয়ে শারমিন ও তানিয়া ২০০৩ এবং ২০০৪ সাল থেকে কানাডায় বসবাস করেন। সম্প্রতি তারা দেশে এসে আদালতের নিষেধ ভেঙে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনায় ভোররাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে বিমানবন্দরে পৌঁছান, এমনকি আটকের পর নাম পরিচয় গোপান করারও চেষ্টা করেন। দুজনের মধ্যে শারমিন আহমেদের নামে ৩১ কেটি ও তানিয়া আহমেদের নামে ৩৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ আছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। বেসরকারি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার যে চারটি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন, সেগুলোর একটি পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস। আর এ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক খবির উদ্দীন ছিলেন পি কে হালদার এর অন্যতম সহযোগী। তিনি কোম্পানির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পরিচালকের পদে ছিলেন।

দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দুবছরের মতো জেল খেটে এখন জামিনে বেরিয়ে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খবির উদ্দীন।

উল্লেখ্য খবির উদ্দীন আল হাসান ডায়মন্ড গ্যালারী নামে রাজধানীর গুলশান সহ বিভিন্ন অভিজাত এলাকার জুয়েলারী ব্যবসা পরিচালনা করে করে আসছেন। দুর্নীতির ও জালিয়াতির এত বড় অভিযোগ এর আগে কোন জুয়েলারী প্রতিষ্ঠান বা মালিকের নাম আসেনি। এ ধরণের জালিয়াত চক্র দ্বারা পরিচালিত ডায়মন্ড ও গোল্ড এর মতো স্পর্শকাতর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করলে বেরিয়ে আসতে পারে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com