চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সময়ে আমদানি হওয়া ৭৯টি বিলাসবহুল গাড়ির নিলাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রোববার। এসব গাড়ির মধ্যে সর্বোচ্চ দামের গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য চার কোটি ৩০ লাখ ১৬ হাজার ৩২১ টাকা ও সর্বনিম্ন দাম ৪০ লাখ ৬৭ হাজার ৮১৯ টাকা।
এর মধ্যে কোটি টাকার নিচে রয়েছে ১৯টি গাড়ি। এছাড়া এক কোটির ওপরে রয়েছে ৪৩টি, দুই কোটির ওপরে রয়েছে আটটি, তিন কোটির ওপরে রয়েছে ছয়টি ও চার কোটির ওপরে রয়েছে তিনটি গাড়ি।
নিলামের ক্যাটালগ সূত্রে জানা গেছে, সর্বোচ্চ দামের গাড়িটি রয়েছে ক্যাটালগের ৪৫ নম্বর লটে। যুক্তরাজ্যে তৈরি ২০০৫ সালের চার হাজার ১৯৭ সিসি সিলভার রঙয়ের ল্যান্ড রোভার গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য চার কোটি ৩০ লাখ ১৬ হাজার ৩২১ টাকা। তবে গাড়িটির চাবি ও ড্যাসবোর্ড পাওয়া যায়নি। গাড়িটির চাকাগুলো ব্যবহার অনুপযোগী।
অন্যদিকে, সর্বনিম্ন দামের গাড়িটি রয়েছে ক্যাটালগের ৭৬ নম্বর লটে। জাপানে তৈরি ২০০৪ সালের সিলভার রঙয়ের হোন্ডা গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য ৪০ লাখ ৮২ হাজার ৭২৪ টাকা।
বিভিন্ন সময় কার্নেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসে এসব বিলাসবহুল গাড়ি। যার মধ্যে রয়েছে- বিএমডব্লিউ, মার্সেডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগোয়ার, লেক্সাস, মিতসুবিশি ব্রান্ডের গাড়ি।
কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন জানান, গাড়িগুলো নিলামে বিক্রির লক্ষ্যে কাস্টম হাউস নিজস্ব উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্স পারমিট (সিপি) সংগ্রহ করেছে। তাই গাড়ির ক্রেতাকে মন্ত্রণালয় থেকে সিপি নিতে হবে না।
নিলামের ক্যাটালগ কাস্টম হাউস, এনবিআরের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি সরকারি নিলামকারী প্রতিষ্ঠান কেএম করপোরেশনের কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে বলে জানান তিনি।
ই-অকশনে দরপত্র দাখিলের সময় শুরু হয় ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে। যা চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা পর্যন্ত। এদিন বিকেল ৫টায় নিলামের বক্স খোলা হবে এবং দরদাতাদের দাখিলকৃত মূল্যের তালিকা তৈরি করা হবে। পরে সর্বোচ্চ দরদাতাদের তালিকা ঘোষণা করবে কাস্টমস।
এর আগে, কার্নেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় এনে খালাস না করা মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ, ল্যান্ড ক্রুজার, রেঞ্জ রোভার, জাগুয়ারের মত জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ৩৪টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রি করে চট্টগ্রাম কাস্টমস। যেগুলোর মোট মূল্য দাঁড়ায় নয় কোটি ২৮ লাখ দুই হাজার ২০০ টাকা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যের গাড়িটি ছিল ৬১ লাখ ১৫ হাজার ৭০০ টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিজ উদ্যোগে নিলামে তোলা এসব গাড়ির ক্লিয়ারেন্স পারমিট সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস।