বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মর্তুজা কাওসার অভি (৩২) হত্যা মামলার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান শুভসহ (৩৫) ৫ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠিয়ে ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- শেরপুর উপজেলার খন্দকারপাড়ার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ হিমেল (৩২), পূর্বদত্তপাড়া এলাকার সোহাগ হোসেন (৩০), নয়াপাড়া এলাকার জাহিদ হোসেন (২৬), উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান শুভ (৩৫) ও শেরপুর পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাপ্পি (৩৭)।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা শুভ ও যুবলীগ নেতা বাপ্পিকে গ্রেফতার জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। অপর তিন আসামিকে শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে শেরপুর থানা পুলিশ।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতোয়ার রহমান খোন্দকার তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে নিহতের স্ত্রী খাদিজা আক্তার লিমা বাদী হয়ে শেরপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮ থেকে ৯ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় নাম উল্লেখ করা অপর আসামিরা হলেন- শহরের নয়াপাড়া (কোর্টপাড়া) এলাকার বাসিন্দা ও উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম (৩২), শ্রমিক লীগ নেতা রকি (২৭) ও উলিপুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা যুবলীগ নেতা এনামুল মুসলিমিন সোহাগ (৩৫)।
নিহত অভি শেরপুর পৌর এলাকার খন্দকার পাড়ার মৃত হোসাইন কাওসার ফুয়াদের ছেলে। তিনি উপজেলার পৌর আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শেরপুর উপজেলা পরিষদ চত্বর সংলগ্ন এলাকায় হাটের ইজারা নিয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।