টানা তিনদিনের ছুটিতে পর্যটকদের আনাগোনায় আবারও প্রাণ ফিরেছে চায়ের দেশ শ্রীমঙ্গলে। সেই সঙ্গে মুখর হয়ে উঠেছে শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র।
তবে পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শ্রীমঙ্গলের পর্যটন এখন উৎসব কেন্দ্রীক হয়ে গেছে। শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে পর্যটকরা এসেছিলেন। উৎসব শেষে পর্যটকরা চলে যাচ্ছেন।
গত দু’দিন শতশত পর্যটকের আগমনে ভিড় লেগেছিল উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। পর্যটকরা ছুটে বেড়িয়েছেন এক স্পট থেকে অন্য স্পটে। বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, টি রিসোর্ট, ইকো-কটেজসহ অন্যান্য রেস্টহাউজগুলো ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। ঠাঁই ছিলনা রমেশের সাত কালারের চা কেবিনেও।
ফরিদপুর মধুখালি থেকে আসা এক ব্যক্তি জানান, তিনি পরিবার সদস্যদের নিয়ে এসেছেন। শ্রীমঙ্গলের সবুজ প্রকৃতিতে এসে খুব ভালো লাগছে।
ট্যুর গাইড এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সদস্য মো. খালেদ হোসেন বলেন, সিলেটে বন্যার কারণে পর্যটকরা কম এসেছিলেন। এখন সেই খরা কেটে গেছে। দেশি পর্যটকদের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি পর্যটকরাও আসতে শুরু করছেন।
তবে পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, শ্রীমঙ্গলের পর্যটন এখন উৎসব কেন্দ্রীক হয়ে গেছে। গত দুইদিন এখানকার হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজগুলো ৮০ ভাগ বুকিং ছিল। কিন্তু আজ থেকে সব খালি হয়ে যাচ্ছে।