জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া নরসিংদীর পলাশে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পঞ্চম ইউনিটে সাত দিন পর পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়েছে।
ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম মুঠোফোনে ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, ইউনিটটি চালু করতে আমরা অত্যন্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আজও সকাল থেকে দীর্ঘ চেষ্টার পর সন্ধ্যা ছয়টা ১৫ মিনিটে চালুর মাধ্যমে উৎপাদন শুরু হয় এবং জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি।
এর আগে, গত মঙ্গলবার দুপুর ২ টা ৫ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিলে হঠাৎ করে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চার ও পাঁচ নম্বর ইউনিট দুটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে এক ঘণ্টার মধ্যে ৩৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন চার নম্বর ইউনিটটি চালু করা গেলেও ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পঞ্চম ইউনিটটি চালু করা যায়নি।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আরো জানান, পঞ্চম ইউনিটটির সেফটি বাল্ব ফেটে যাওয়ায় ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে, জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে গত বুধবার ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশ (পিজিসিবি) তদন্ত কমিটির ছয় সদস্য। পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব এলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণকক্ষ প্রায় তিন ঘণ্টা পরিদর্শন করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে যান।
ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পঞ্চম ইউনিটের কন্ট্রোল রুম সূত্র থেকে তখন জানানো হয়, ইউনিট চলার জন্য মেটাল টেম্পারেচার থেকে রোটর টেম্পারেচারের মিনিমাম ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা কম বেশ থাকতে হয় তা না হলে টারবাইনে সমস্যা দেখা দেয়। হঠাৎ করে কোনো ইউনিট বন্ধ হয়ে গেলে সেটি তাৎক্ষণিক চালু করা না গেলে টেম্পারেচারের মাত্রা ঠিক করতে অন্তত চার থেকে পাঁচদিন সময় নিতে হয়। বুধবার ইউনিটটিতে পাওয়ার দেওয়ার পর লোড দেওয়ার সময় দুটি টেম্পারেচার সমপরিমাণ থাকায় তা আর চালু করা সম্ভব হয়নি।
সাতদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা ১৫ মিনিটে পুনরায় উৎপাদন শুরু হওয়ার পর ঘোড়াশাল-পলাশ শিল্প এলাকায়ও শিল্প প্রতিষ্ঠান চালুর মাধ্যমে প্রাণ ফিরে এসেছে।