নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: গতকাল রবিবার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তাঁদের নিজ নিজ গ্রেডের আলোকে এক মাসের বেসিকের সমপরিমাণ টাকা, সততার স্বীকৃতির সনদ ও ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘বার্ষিক কর্মসম্পদান চুক্তি ২০১৯-২০ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান’-এ তাঁদের এ সম্মাননা দেওয়া হয়। কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না, ইচ্ছা করে কারো ফাইল আটকে রাখেননি, নিজের কাজে আন্তরিক ছিলেন, অনলাইনে নথিভুক্তির সংখ্যাও ছিল প্রশংসনীয়—এমন ১৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে পুরস্কৃত করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পরিকল্পনা কমিশন ও পরিকল্পনা বিভাগের মধ্যে বাছাই করা এই ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সৎ ও নির্লোভ বলেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
‘সৎ ও নির্লোভ’ পুরস্কার পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কাসেম, কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম প্রধান মনজুরুল আনোয়ার, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের যুগ্ম প্রধান স্বপন কুমার ঘোষ, পরিকল্পনা বিভাগের উপসচিব ড. উত্তম কুমার দাশ, কার্যক্রম বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান সাবিনা রওশন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান শিমুল সেন এবং শিল্প ও শক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান জালাল হাবিবুর রহমান।
এ ছাড়া পুরস্কার পেয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান নাজমুল হাসান, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর রাসেল হাওলাদার, পরিকল্পনা বিভাগের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর রীতা রানী, কার্যক্রম বিভাগের ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর জুনাইদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের অফিস সহায়ক মিজানুর রহমান সেরনিয়াবাদ, কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের অফিস সহায়ক বেগম আলেখাঁ আক্তার, শিল্প ও শক্তি বিভাগের অফিস সহায়ক মাসুদুর রহমান ও ভৌত অবকাঠামো বিভাগের অফিস সহায়ক নাসির উদ্দিন।
সততার পুরস্কারে নগদ অর্থ ও সনদ পেয়ে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান শিমুল সেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যেকোনো স্বীকৃতি আনন্দের। এই স্বীকৃতি আমার চলার পথে অনুপ্রেরণা জোগাবে। দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল।’ অনুষ্ঠানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই হয়।