স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ হওয়া শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ব্রাজিল। গোলবন্যার ম্যাচে সেলেসাওদের হয়ে স্কোরশিটে নাম তুলেছেন ভিনিসিয়ুস, নেইমার, রিচার্লিসন ও পাকুয়েতা। কোরিয়ার হয়ে ব্যবধান কমিয়েছেন পাইক সিউংঘো।
জয়ের পাশাপাশি ব্রাজিলের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষও নিশ্চিত হয়েছে। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে সেলেসাওরা। আগামী ৯ ডিসেম্বর এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
একক আধিপত্যের ম্যাচে ৪৫ শতাংশ সময় বল দখলে রাখে ব্রাজিল। এ সময় গোলের জন্য ১৮টি শট নেন তিতের শিষ্যরা, যার মাঝে দশটি ছিল অন টার্গেট।
দক্ষিণ কোরিয়া অবশ্য একেবারে ছেড়ে কথা বলেনি। ৪২ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে ব্রাজিলের গোলমুখে আটবার শট নেয় তারা, যার মাঝে ছয়টি ছিল লক্ষ্যে।
ম্যাচের একদম শুরুতেই গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। সপ্তম মিনিটে কোরিয়ার জালে বল জড়িয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। যার মাধ্যমে শুরু হয় ব্রাজিলের গোল উৎসব।
এরপর ম্যাচের ১১তম মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার ডি বক্সে ফাউলের শিকার হন রিচার্লিসন। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি নেইমার। স্পট কিক থেকে সহজেই বল জালে জড়ান তিনি। ইনজুরি থেকে ফেরাটা গোল দিয়েই স্মরণীয় করে রাখলেন এই ফরোয়ার্ড।
শুরুতে দুই গোল দিয়েও থামেনি ব্রাজিলের গোলক্ষুধা। দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণে একেরপর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। যার ফল মেলে ২৯ মিনিটে। এবার দলীয় নৈপুণ্যে স্কোর করেন রিচার্লিসন। যা চলতি আসরে তার দ্বিতীয় গোল।
দক্ষিণ কোরিয়া যেন ব্রাজিলের টানা আক্রমণে যেন হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে ম্যাচের চতুর্থ গোল করে সেলেসাওরা। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন লুকাস পাকুয়েতা। ৩৬ মিনিটে ডি বক্সে বেশ দূর থেকে নেয়া দারুণ এক শটে গোল করেন তিনি।
চার গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ সাবধানে খেলতে থাকে তারা। আক্রমণের গতি ছিল কম। সেই সুযোগে ম্যাচে ফেরার জোর প্রচেষ্টা চালায় দক্ষিণ কোরিয়া।
ম্যাচের ৭৬ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে জটলা ভেদ করে হারের ব্যবধান কমান সিউংঘো। ফ্রি কিক থেকে ফিরতি বলে পাওয়া শটে তার এই গোল বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা গোল হিসেবেই বিবেচিত হবে, তা নিশ্চিত।
শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানেই ম্যাচ জেতে ব্রাজিল। যেখানে দলীয় ও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে নিজেদের সেরার একটা অংশ প্রদর্শন করে সেলেসাওরা।
কাতারের স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ আজকের ম্যাচটাই শেষ ম্যাচ। কয়েকদিনের মাঝেই স্টেডিয়ামটি ভেঙে ফেলা হবে। এর আগে এই স্থাপনাটি সাক্ষী হয়ে থাকল অনবদ্য এক ম্যাচের।