রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
উত্তরা পশ্চিম থানা শ্রমিক দল  কর্তৃক আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। ফরম পূরণে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে! ইভানা তালুকদার জনগণের মতামত নিয়েই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চায় বিএনপি: আমিনুল হক শিক্ষার্থীদের  ফরম পূরণের অনিয়য়ে শ্রেণি শিক্ষক দায়ী ; ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইভানা তালুকদার মানবিক সহায়তায় ৩০ মিলিয়ন ডলার দিল সৌদি আরব শেষ পর্যন্ত ইনিংস ব্যবধানেই হারলো বাংলাদেশ ‘ক্ষমতায় গেলে ১৮ মাসে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে’ আজ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্মদিন নতুন ৩ দিবসের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে সরকার সাবেক মন্ত্রী ইমরান ও প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধানের আবাদ বাড়াতে কৃষকদের প্রতি আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৬৪ বার পঠিত

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বায়োফর্টিফাইড জিঙ্ক রাইসের মাধ্যমে দেশের মানুষের জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। তিনি পুষ্টিহীনতা দূর করতে জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধানের আবাদ বাড়াতে কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার দুপুরে আগারগাঁও পর্যটন কনফারেন্স হলে ‘বায়োফর্টিফাইড জিঙ্ক রাইস অ্যাওয়ার্ড সিরিমনি ২০২২’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ বায়োফর্টিফাইড জিঙ্ক সমৃদ্ধ চাল সম্পর্কে বা এর গুণগুণ সম্পর্কে মোটেই সচেতন নন। তারা এই জিঙ্ক সমৃদ্ধ চাল বা ধান সম্পর্কে জানেনও না। জিঙ্ক সমৃদ্ধ চাল সম্পর্কে ভোক্তাকে আকৃষ্ট করতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, আজকাল আমরা রাসায়নিক ফর্মুলায় তৈরি করা জিঙ্ক খাচ্ছি, কিন্তু ভাতের মাধ্যমে যে এই উপাদানটি আমরা প্রাকৃতিকভাবে পেতে পারি তা জানি না। এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করা দরকার।

তিনি আরো বলেন, দেশের মিলাররা ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী চিকন চাল তৈরি করে বাজারে সরবরাহ করে থাকে। কারণ গ্রাহকরা জিংক চালের জন্য উৎসাহ দেখান না এবং কৃষকরাও এ ধান চাষ করতে আগ্রহী হন না। কারণ জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধানের চাল একটু মোটা হয়ে থাকে। গ্রাহক বা ভোক্তা চিকন আর চকচকে চাল পছন্দ করেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ চালেও পুষ্টি থাকে, তবে চাল চিকন করতে গিয়ে পুষ্টির অংশ ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। সারাদেশে বছরে ৪ কোটি টন ধান ক্রাসিং হয়। মিল মালিকদের তথ্য অনুযায়ী, চাল চিকন করতে গিয়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ চাল ক্ষয় হয়ে যায়। সে হিসেবে বছরে ১৬ লাখ টন চাল নষ্ট হয়ে যায়। এটা না করলে বিদেশ থেকে হয়তো চাল আমদানি করতে হতো না।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. সাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বেনজির আহম্মদ, হার্বেস্ট প্লাসের কান্ট্রি ডিরেক্টর এ কে এম খায়রুল বাশার, খাদ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রেশন (গেইন) এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার, পোর্টফলিও লীড ড. আশেক মাহফুজ, মিলার প্রতিনিধি মোতাহার হোসেন এবং কৃষক প্রতিনিধি আইয়ুব নবী বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে বায়োফর্টিফাইড জিঙ্ক রাইস উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১১ জন কৃষক, ৩ জন রাইস মিলার ও ১০ জন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। গেইন ও হার্বেস্ট প্লাসের সহযোগিতায় খাদ্য অধিদফতর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com