আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নওগাঁয় শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী বইমেলা। নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ মেলার আয়োজন করে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁ। মেলা চলবে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বুধবার বিকেল ৫টার দিকে নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। নওগাঁ একুশে পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি এম আব্দুল বারির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- একুশে পরিষদের উপদেষ্টা সাবেক এমপি ওহিদুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর শরিফুল ইসলাম খান, ডা. ময়নুল হক দুলদুল, প্রকৌশলী গুরুদাস দত্ত, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মুকল চন্দ্র কবিরাজ এবং বিন আলী পিন্টু ।
মেলায় বই, বিভিন্ন হস্ত ও কুটির শিল্প এবং খাবার দোকানসহ ৬৫টি স্টল অংশ নিয়েছে। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি প্রচারের জন্য মেলায় অংশ নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। সপ্তাহব্যাপী এ মেলা থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা বাণিজ্যের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নারী উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বিক্রির পাশাপাশি পণ্যের প্রচারে মেলায় অংশ নিয়েছেন। তবে বিক্রি জমবে বলে আশাবাদী তারা।
মেলায় হস্তশিল্পের স্টল দিয়েছেন শিক্ষক শারমিন সুলতানা। তিনি বলেন, অফলাইন ও অনলাইন দুই পদ্ধতিতে বিক্রি করা হয়। মেলায় অংশ নেওয়ার মূল বিষয় হচ্ছে পণ্যের প্রচার ও প্রসার। তবে মেলায় প্রথমদিন বিক্রি কিছুটা কম। আগামীকাল থেকে ভালো বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি এম আব্দুল বারী বলেন, একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছর বইমেলার আয়োজন করা হয়। সপ্তাহব্যাপী বইমেলাটি বিভিন্ন অনুষ্ঠান দিয়ে সাজানো হয়েছে। শতকণ্ঠে ভাষার গান হয়েছে। এবার শতজনের অংশগ্রহণে নৃত্য হবে। সবকিছুই দেশের মাটি ও মানুষের। এজন্য বারবার ফিরে আসি একুশের কাছে।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে বই পড়ার আগ্রহ বাড়াতে হবে এ মেলার আয়োজন।
বইমেলা প্রাঙ্গণে অস্থায়ী মঞ্চে সাত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে সাধারণ জ্ঞান ও সুন্দর হাতের লেখা, চিত্রাঙ্কন, আবৃতি ও ভাষার গান প্রতিযোগিতা, ড. জোহা দিবসে আলোচনা, কবি শাহ আলম চৌধুরী চারুপাঠের পরিবেশনা এবং নৃত্য, নাটক ও আবৃতি অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় অংশ নেয়া ৬৫টি স্টলের মধ্যে ২৫টি বইয়ের স্টল, ২৫টি বিভিন্ন হস্ত ও কুটির শিল্প এবং বাঁকিগুলো খাবারের দোকান।